ধামরাইয়ে ১৩ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে বাঁধার অভিযোগ

মো. সাইফুল ইসলাম ,ধামরাই (ঢাকা):

ঢাকার ধামরাইয়ে সর্বসাধারণের যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নির্মাণাধীন আইপি গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে। সরকারি অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলেও মাত্র দেড়-দুশ ফুট রাস্তা নির্মাণ বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এ রাস্তাটি কোন কাজেই আসছেনা।

এ সামান্য রাস্তাটুকু নির্মাণ না হওয়ায় ১৩টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃহস্পতিবার(২০জানুয়ারি) সকালে।

তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড়নারায়ণপুর এলাকায়।

ভুক্তভোগিরা জানান, বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া,জাঙ্গালিয়া,দূনিগ্রাম,মাদারপুর,সূত্রাপুর,তে লীগ্রাম,বাইচাইল,সুন্দর বাঠালিঢয়া,হিজুলিখোলা,পাবরাইল,ভাবনহাটি, নাদ্বেশ্বরী ও বাউখন্ড এলাকার মানুষের কৃষিজমি রয়েছে বড়নারায়ণপুর মৌজায়। এছাড়া সাটুরিয়া বাজার,স্কুল কলেজ,নান্দেশ্বরী মাদ্রাসা,শহীদ টিম্বার অ্যান্ড “স”মিল,কয়েকটি কাস্টিং কড়াই কারখানায় মানুষ পায়ে হেঁটে এ মৌজার মাঝাখান দিয়েই চলাচল করতেন। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া খেলার মাঠের পার্শ্বের এসবিবি রাস্তা থেকে একটি মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উপর কাজ শুরু করে।

প্রায় দেড়কিলোমিটার রাস্তার পুরো কাজই শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র নির্মাণাধীন আইপি গ্লোবাল কারখানা কর্তৃপক্ষ বাঁদা দেয়ায় দেড়- দুশ ফুট রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় পাকা সড়কের সঙ্গে সংযোগ দেয়া যাচ্ছেনা। ফরেল এ রাস্তাটি কোন কাজেই আসছে না। ফলে মানুষের যাতায়াত ব্যহত হচ্ছে চরমভাবে। প্রতিকার চেয়ে ১৪জানুয়ারি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেন ও ২০জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কারখানার তদারকি কর্মকর্তা মো. লিটন মিয়া ও বাবু মিয়া বলেন, আমরা কারখানার আশপাশের সব জমি কিনবো । তাই এ রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে আমরা আর জমি কিনতে পারবো না। তাই আমাদের কারখানার পাশ দিয়ে এ রাস্তা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না।

ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, আমি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আশানুরূপ কোন ফলাফল পাইনি। মনে হয় তারা কারখানার পাশ দিয়ে এ রাস্তা নির্মাণ করতে দেবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, বিষয়টি সহকারি কমিশনারকে(ভুমি)দিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।