আলোকিত স্বদেশ রিপোর্ট:
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এ বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে শতবর্ষ ধরে চলে আসা ইউনানী ওষুধে এবার আশার আলো দেখছেন গবেষকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত ছয় মাসে ভেষজ ওষুধের চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ।
বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক গবেষণা করে জানিয়েছেন, হামদর্দের হারবাল অ্যান্টিসেপ্টিক ও ব্যথানাশক কুলজম; রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী ভাইরাসবিরোধী হিসেবে ব্যবহৃত সিরাপ ফেভনিল এবং শ্বসনতন্ত্র রোগের লক্ষণ নিরাময়ে ওষুধ সাদুরী এক সঙ্গে ব্যবহার করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অনেকে ।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কয়েকজন জানিয়েছেন, তিনটি ওষুধের সম্মিলিত প্রয়োগে ৭ দিনের মধ্যে তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। খরচ পড়ছে মাত্র ২০০ টাকা!
হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩০০ শাখার মাধ্যমে প্রায় দশ হাজার কোভিড-১৯ এর উপসর্গ বহন করা রোগীর উপর এ ওষুধ প্রয়োগ করে শতভাগ সফল হয়েছেন। আর কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রায় বহু মানুষ এখন সম্পূর্ণ সুস্থ ।
হামদর্দের গবেষক দল জানান, ১ মগ গরম পানিতে ৪-৫ ফোঁটা কুলজম দিয়ে দৈনিক ৩ বার শ্বাস টেনে ভাঁপ নিতে হবে। কোভিড-১৯ এর সংক্রমন থেকে মুক্ত থাকতে এভাবে প্রতিদিন ৩ বার করে ভাপ নিতে হবে । আর, কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এ আক্রান্ত ব্যক্তিরা এটি ব্যবহারে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়।
তাছাড়া শ্বাসকষ্ট হলে টিস্যু বা রুমালে দু এক ফোঁটা কুলজম নিয়ে নাকে শ্বাস নিতে হবে।
জ্বর হলে প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার ৩ থেকে ৪ চা চামচ সিরাপ ফেভনিল গরম পানিতে দিয়ে সেব্য। কাশি হলে সিরাপ সাদুরী প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার ৩ থেকে ৪ চা চামচ গরম পানিতে দিয়ে সেব্য।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় হামর্দদের এই ৩টি ওষুধের ভূয়সী প্রশংসা করে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ।