মো. সাইফুল ইসলাম ,ধামরাই (ঢাকা) :
ঢাকার ধামরাই অঞ্চল শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত । ঢাকা জেলায় ধামরাই উপজেলায় বেশী উৎপাদন হয় ধান। ধান চাষের পাশাপশি সবজি চাষে পিছিয়ে নেই এ উপজেলার কৃষকরা। গত বছর করোনাকালীন সময় শাকসবজিতে তেমন দাম না পেলেও এবার বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ করেছেন চাষিরা।
শীতের আগাম সবজি বাজারে তুলতে পারলেই বেশি টাকা আয় করা যায়। বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে ধামরাইয়ের চাষিরা।
কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা শীতকালীন সবজির চারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ সেই চারা খেতে লাগাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ খেত আগাছামুক্ত করতে নিড়ানি দিচ্ছেন। তবে এবার মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগাম সবজি চাষে কৃষকরা মণ প্রাণ সপে দিয়ে কাজ করছেন মাঠে।
চলতি শীত মৌসুমে জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে শিম , বেগুন , ফুল কপি , বাঁধা কপি , পালংশাক এবং লালশাক শীতকালীন শাকসবজি।
খেতজুড়ে ছেয়ে আছে লালশাক। পাশাপাশি খেতে আগাছাও একেবারে কম জম্নায়নি। তাই খেতের মধ্যেই বসেছিলেন কৃষক তোফাজ্জল হোসেন সেই কাকডাকা ভোরে জমিতে পা ফেলেন। এরপর থেকেই খেতের সবজি গাছগুলো ঠিকঠাক রেখে আগাছা পরিষ্কার করেন।
শীতকালীন আগাম সবজি চাষে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কৃষকরা। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের আবর্তে গরু দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসেছে। শীতের সবজির বর্ণিল সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, পটল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের সবজিখ্যাত গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি নিয়ে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য ওঠে আসে।
অভিজ্ঞ কৃষক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাকসবজির ভাল উৎপাদন হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষিরা বেশি পরিমাণে শাকসবজির চাষ করেছে। আগাম জাতের শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ভাল দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছে চাষিরা।
তিনি বলেন, এ বছর বন্যা ও দুর্যোগ না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন থেকে শুরু করে চারা পরিচর্যা সুষ্ঠু ভাবে করতে পারছে। তেমন কোন রোগবালাই নেই। এখন অল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে ভরা মৌসুমে কৃষকরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি।