হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সার।
কৃষক কদর আলী জানান, চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার অন্যান্য সারের দোকান গুলো থেকে সরকারি নির্ধারিত দামের বাইরে টিএসপি, ইউরিয়া, এমওপি , ডিএপি র প্রতিকেজি সাড়ে ৩ থেকে ৮ টাকা হারে বেশি দাম নিচ্ছেন।
কমলানগর গ্রামের কৃষক মো হান্নান বলেন, শনিবার (২ অক্টোবর) তিনি ইউনিয়ন সারের ডিলার লালা ট্রেডার্স থেকে ইউরিয়া প্রতি কেজি সার ১৬ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা ও টিএসপি ২২ টাকার পরিবর্তে ২৮ টাকা দরে কিনতে হয়েছে।
চাষিদের অভিযোগ, ডিলারসহ সারের দোকানগুলোতে সার পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রেতারা সারের সংকট দেখিয়ে দাম বেশি রাখছেন।
এতে তাদের উৎপাদন খরচ বহুগুন বেড়ে যাচ্ছে। দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা মতো সার ক্রয় করতে পারছেন না তারা। ফলে জমিতে সারের ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা রয়েছে।
চৌমুহনী ইউনিয়ন সারের ডিলার-এর সত্বাধিকারী সারের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সাব ডিলারদের কাছে দোকানের মেমুর মাধ্যমে সার দেওয়া হলেও খুচরা পর্যায়ে সারের ক্রেতাদের কোনো মেমু দেয়া হয় না।
চৌমুহনী এর উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ জাহিদুল হোসাইন বেশি দামে সার বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, আসন্ন রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে সারের চাহিদা বেশি থাকে সে তুলনায় সারের কিছুটা সংকট রয়েছে। সে সুযোগে খুচরা সার বিক্রেতারা দাম কিছু বেশি রাখছেন বলে শুনেছি। তবে ডিলারসহ সার বিক্রেতাদের সরকারি মূল্যে সার বিক্রি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, সারের সংকট থাকার কথা নয়, মাঠপর্যায়ে আমাদের উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তারা বিষয়টি মনিটরিং করছে।