সাঁথিয়ায় জামাতনেতার বিরুদ্ধে সরকারি সড়ক কেটে পুকুর খননের অভিযোগ

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি :

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের কাবারিকোলা গ্রামে জামাতনেতার বিরুদ্ধে সরকারি সড়ক খনন করে পুকুর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সড়ক না থাকায় কৃষক তার উৎপাদিত ফসল মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারছে না । মৃত ব্যক্তির সৎকার করতে শ্মশানে যেতে পারছেনা হিন্দু সম্প্রদায়। ২০টি পরিবারের চলাচল ব্যহত হচ্ছে ।

এসএ ম্যাপে সড়ক থাকলেও আরএস ম্যাপে পুকুরের সীমানা থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে সড়ক।

জানা যায়, উপজেলার কাবারিকোলা মাদরাসা থেকে কদ্দুস মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত পাকা সড়কের কাবিল মিয়ার বাড়ি হতে শ্মশান হয়ে বেনু মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক। পাকা সড়কের মাথা থেকে প্রায় ৩শত ফিট সড়ক এসএ ম্যাপে দৃশ্যমান থাকলেও আরএসএ ম্যাপ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে।

কেটে নেওয়া অংশ খনন করে পুকুর খনন করেছে কাবারিকোলা গ্রামের জামায়াত নেতা মৃত আ: ওহাব মুন্সীর ছেলে আ: বাছেদ মুন্সী, বাদল মুন্সী, হিরু মুন্সী গংরা।

এতে ওই কাবারিকোলা মাঠের শত শত একর জমির উৎপাদিত ফসল মাঠ থেকে ঘরে তুলতে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক না থাকায় ২০টি পরিবারের লোকজনের চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সড়কের অভাবে শ্মশানে নিয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকাজ  করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসএ ম্যাপে সম্পুর্ণ সড়ক থাকলেও আরএস ম্যাপে পুকুরের অংশ কেটে নেওয়া হলেও বাঁকী সড়কটি এখন দৃশ্যমান রয়েছে।

এছাড়াও ওই পরিবারের খননকৃত দুটি পুকুরের পাশ্ববর্তী মৃত মানিক মিয়ার ছেলেদের প্রায় ১২ শতক বসতভিটা পুকুরের পেটে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

কাবারিকোলা গ্রামের কাবিল মিয়া, আফাজ মোল্লা ও সুরমান মিয়া জানান, হিরু মুন্সীর পরিবার প্রভাব খাটিয়ে সড়কের মাথার অংশ থেকে কেটে পুকুর খনন করেছে। সড়কের পিছনের অংশ থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না। এতে ফসল ঘরে তোলাসহ মানুষের যাতায়াতের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সড়কটি উদ্ধারে এলাকাবাসী পাবনা জেলা প্রশাসক ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযুক্ত বাছেদ মুন্সী জানান, সড়কে মানুষের চলাচল না থাকায় সরকার আরএস ম্যাপ থেকে বাদ দেয়। পরবর্তীতে এখানে আমরা পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছি।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।