সাঁথিয়ায় পানিবন্দি ৩ হাজার পরিবার , খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে হাহাকার

আলোকিত প্রতিনিধি:

উজানের ঢল আর টানা বর্ষণে পাবনায় যমুনা নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাবনার সাঁথিয়ার নিম্নাঞ্চল খ্যাত নাগডেমড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ৩হাজার পরিবার দীর্ঘ ২মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। মানবেতর জীবনযাপন করছে ত্রাণহীন এসব মানুষ। প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ঔষধের অভাব প্রকটভাবে অনুভব করছে বানভাসি কর্মহীন হয়ে পড়া হাজার হাজার মানুষ। পানিবাহিত ও মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা স্থানীয়দের। অসহায় পরিবারগুলোতে খাবারের জন্য হাহাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার শারমিন আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুই মাসের ও অধিক সময় ধরে পানিবন্দী রয়েছে। বাড়িতে রান্না করার মত জায়গা নেই। খেয়ে না খেয়ে পানির মধ্যে জীবনযাপন করতেছি। গরু ছাগল হাঁস মুরগী বিক্রি করে দিয়েছি। বিশুদ্ধ খাবার পানি নেই। বাথরুমসহ যাবতীয় জিনিসপত্র পানিতে ডুবে আছে। রাত আসলে আমরা নির্ঘুম রাতযাপন করি। সাপ বিচ্ছু পোকা-মাকড় আমাদের শরীরে এসে বসে।

নাগডেমড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, আমার ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার ২ মাস ধরে পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। ফলে এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজার হাজার ত্রাণহীন এসব মানুষ। প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধের অভাব প্রকট ভাবে অনুভব করছে। তিনি বলেন,  পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাইনি। সপ্তাহ খানেক আগে সামান্য ৪ টন খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলাম। নিজ থেকে যতটুকু পারছি সহযোগিতা দিয়েছি।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান থেকে খোঁজ নিয়ে জেনেছি প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে । প্রায় ৪শ পরিবারের মাঝে ৪ মে.টন ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে, যেকোনো সময় বন্যাকবলিতদের নিকট পৌঁছে যাবে