শিক্ষার্থীদের একদফার সঙ্গে থাকবে বিএনপি

বিএনপি নেতারা মনে করেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন এখন জনগণের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে যেই দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন, সেই দাবিতে শিক্ষার্থীরাও এখন মাঠে নেমেছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষও। শুধু ছাত্ররা নন সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে অভিভাবক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ সব পেশার মানুষ এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনটা ছাত্রদের হাতেই থাকা ভালো। না হলে আন্দোলন নস্যাতে একটি চক্র উঠেপড়ে লাগবে। বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে যা করা দরকার, তা করবে। আমাদের দল এরই মধ্যে সমর্থন জানিয়েছে। পাশাপাশি ছাত্রদের সহযোগিতার জন্য সারা দেশে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একদফা দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। তাদের দাবি আমাদের দাবিরই যৌক্তিকতাকে প্রমাণ করে।’

বিএনপি নেতারা জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালেই গত ২৬ জুলাই বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের চার দল, ১২ দলীয় জোটের ১২ দল, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ১১ দল, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের চারটি দল, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টিসহ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মিত্ররা জাতীয় ঐক্যে থাকবে। এ ছাড়া চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ববি হাজ্জাজের এনডিএমসহ আরও ১৫টি রাজনৈতিক দলকেও পাশে চায় বিএনপি। এর মধ্যে বাম ও ডানপন্থি রাজনৈতিক দল রয়েছে। গত ২৯ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা সবার সঙ্গেই থাকবেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয় জোনায়েদ সাকী কালবেলাকে বলেন, ‘এখন দেশে যা হচ্ছে, সেটি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান। ছাত্রদের একদফা দাবির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন আমাদের আছে। কারণ আমরা শুধু রাজনীতি করি না, আমরাও তো জনগণের অংশ।’