তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি-জামায়াত অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ডাহা মিথ্যাচার।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। সেখানে বেশকিছু সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যম ও ক্ষেত্র বিশেষে কিছু মূলধারার গণমাধ্যমে বেশ কিছু ভুল তথ্য চলে এসেছে। বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সর্বশেষ রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামও সেই অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
আরাফাত বলেন, প্রেস কনফারেন্সে তিনি (ফখরুল) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা একেবারে অসত্য ও ডাঁহা মিথ্যা এবং সমঝোতা স্মারকের সব ধারা তিনি হয়ত পড়েননি। তিনি সব ধারা না পড়ে, না বুঝে খণ্ডিতভাবে পড়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতীয় ট্রেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাবে। কিন্তু এ সমঝোতা স্মারকে এটিও বলা আছে, ভারতের ওপর দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটানে যাবে। নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশের ট্রেন ও তাদের ট্রেন ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এসে মোংলা কিংবা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এখন কলকাতা বন্দর ব্যবহার করে। অর্থাৎ আমাদের বন্দরগুলোকে আমরা লাভজনক করব।
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাহলে আপনি বলবেন ভারতের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হয়ে গেল। তারা নিজেদের কলকাতা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের বন্দর লাভজনক করে দিচ্ছে? বিষয়টি হচ্ছে আঞ্চলিক সহযোগিতার।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রীড লাইন, সেই গ্রীডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করব। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করব আমরা তখন রফতানিও করতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে রিজিওনাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে। গোটা বিশ্ব কানেকটিভিটির মধ্যে আসছে। আমরা কিন্তু এটা এককভাবে ভারতকে দিইনি। সেটিকে তারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। এটা কিভাবে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হলো? মূলত বিএনপির চিন্তা নতজানু।