দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান রদবদল ঘিরে বিএনপির অভ্যন্তরে চলছে নানামুখী তৎপরতা। বিগত আন্দোলনে প্রত্যাশিত ভূমিকা না রাখায় এরই মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। সেই ধারাবাহিকতায় স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন স্তরে আরও পরিবর্তন আনা হতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্কে আছেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও আলোচিত অনেক নেতা। নিজ নিজ পদ ও দলে সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখতে তাদের অনেকেই নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, দলকে শিগগির আন্দোলনমুখী করার পরিকল্পনা সামনে রেখে সাংগঠনিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবেই কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে বড় রদবদলের পাশাপাশি ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় এবং ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরের চার কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনপিতে আরও রদবদলের প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ায় শূন্য পদ পূরণ ছাড়াও ‘টপ টু বটম’ তথা সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক পর্যন্ত নানান স্তরে পরিবর্তন আনা হবে। পুনর্গঠনের দ্বিতীয় ধাপে শিগগির ৩০ থেকে ৩৫ জনকে স্থায়ী কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ নানান পদে পদায়ন করা হতে পারে। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াইশ পরিবর্তন আসতে পারে। ‘আস্থাভাজন’ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। একই প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটিও গঠন করা হবে। পুনর্গঠনের এই প্রক্রিয়ায় দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় কোনো নেতাই রেহাই পাবেন না।
জানতে চাওয়া হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কালবেলাকে বলেন, ‘কমিটি গঠন,