ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১১ মার্চ) সূচকের কিছুটা পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে, উভয় পুঁজিবাজারে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৬.৮৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়া সূচক ২.৩০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩২২ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৯৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৯টির।
ডিএসইতে এদিন মোট ৭৫০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অপরদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৭.৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৪৪০ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩.৯৩ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১.০৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১২৩ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ২৩.৩৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৯৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে ২৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৮৭টি কোম্পানির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫টির।
সিএসইতে দিন শেষে সিএসইতে ২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
প্রসঙ্গত, ডিএসই’র ওয়েবসাইটে রোববার (১০ মার্চ) কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওয়েবসাইটে সূচক সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখা যাচ্ছিল। তবে, রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ডিএসই’র আইটি টিম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নাসডাকের তত্ত্বাবধানে কাজ করে কারিগরি ত্রুটি সমাধান করে। সোমবার সকালে যথাসময়ে লেনদেন শুরু হয়।