রিমান্ড শুনানি শেষে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয় ডাক্তার রায়হান শরীফকে।
সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে গুলি করায় শহিদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের সেই অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেন তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন। অভিযুক্ত রায়হান শরীফ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইব্রাহিম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীকে গুলি করায় ওই শিক্ষকের অস্ত্রের উৎপত্তি কোথায়; তিনি কোথায় থেকে অস্ত্র কিনলেনসহ সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জেল হাজত থেকে বিকেলেই তাকে রিমান্ডে আনা হবে।
এর আগে, গত বুধবার (৬ মার্চ) সকালে আদালতে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহিদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে আলোচনায় আসে শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয় পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে দু’টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।