প্রধানমন্ত্রীর ভোট পেয়ে বিস্মিত ফেরদৌস বললেন, ‘স্বপ্নাতীত, অকল্পনীয়’

ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে তিনি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানার পুত্র ববি।
ভোট শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেরদৌস নিজেই।তিনি বলেন, ‘গুড মর্নিং বাংলাদেশ, সুপ্রভাত। আজকে এক অসাধারণ সকাল। কারণ, এই মুহূর্তে যে অবিস্মরণীয় ঘটনাটি ঘটে গেল তা আমার জন্য স্বপ্নাতীত, অকল্পনীয়। আমি আজকে বিস্মিত হয়েছি কারণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এসেছিলেন আমাকে ভোট দিতে। ঢাকা-১০ আসনে আমি মনোনয়ন পেয়েছি নৌকা প্রতীকে, এটা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ জানে। বাট অনেকেই হয়তো এটা জানতেন না প্রধানমন্ত্রী আমাকে ভোট দিয়েছেন।’
ফেরদৌস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন ৮টা বাজার ৫ মিনিট আগে। কারণ, তিনি কথা দিয়েছিলেন, বুথ ওপেন হলে প্রথম ভোটটা আমি দেব। তার সঙ্গে এসেছেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরি আমাদের পুতুল খালা। দুজন এসে আমাকে ফোন দিয়ে গেলেন। মানে আমি অলরেডি দুটো ভোট পেয়ে গেলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম ঢাকা-১০ কে বানাব দশে ১০। তো দশের মধ্যে ২ নম্বর পেয়ে গেলাম। বাকি ৮ নম্বর ইনশাআল্লাহ আমি সারাদিনের মধ্যে পেয়ে যাব। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মানুষকে ইনস্পায়ার করে গেলেন এখন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ শুধু ঢাকা-১০ নয়, ৩০০ আসনে প্রত্যেকটা মানুষ যেভাবে অপেক্ষায় আছে ভোট দেওয়ার জন্য তো আমি বিলিভ করি প্রত্যেকে এখন বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো ছুটে যাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। আমি নিজেও যাব ভোট দিতে, আমার ফ্যামিলি যাবে। সো যে উচ্ছ্বাস এতদিন দেখেছি, যে গণজোয়ার দেখেছি তাতে আমি আশাবাদী। আমি বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিয়ে আসব।’
‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছিলাম, আমি চেষ্টা করব ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট নিয়ে নৌকার বিজয় নিয়ে আসব। দেখা যাক, সে কথা আমি কতটুকু রাখতে পারি’, যোগ করেন ফেরদৌস।
নৌকার এই প্রার্থী আরও বলেন, ‘ঢাকা-১০ আসনে এই মুহূর্তে যারা টেলিভিশনে সংবাদ বা খবর দেখছেন তাদের সবাইকে অনুরোধ করব প্লিজ আপনারা সবাই আসুন। নৌকাকে ভোট দিন, আমাদের বিজয়ী করুন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের আবারও দরকার এই দেশ পরিচালনার জন্য। আমরা যেন সবাই মিলে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীকে আবার নির্বাচিত করতে পারি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’