ভোটারদের কেন্দ্রে আনা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রোববার (৭ জানুয়ারি)। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চেষ্টার কমতি নেই কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। তবে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অনেকে।
একদিকে নির্বাচন বর্জন করেছে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের সমমনারা। নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র ২৮টি দল অংশ নিচ্ছে এবারের নির্বাচনে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারাতে দেখা যাচ্ছে ভোটারদের। সব মিলিয়ে ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে ভোটার আনার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সামনে।অবশ্য ৬০ কিংবা ৭০ নয়, ৫ শতাংশ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেও নির্বাচন আইনানুগ হবে। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনেকটা নির্ভর করে ভোটার উপস্থিতির ওপর। তাই নিজেদের নেতাকর্মীদের প্রতি এবারের নির্বাচনে অন্তত ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য বারবার তাগিদ দিতে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটা চ্যালেঞ্জ আছে সরকারের সামনেও।
এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনে বলা আছে ৫ শতাংশ ভোট পড়লেও সেটা আইনানুগ নির্বাচন। তবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নির্ভর করে অন্য জিনিসের ওপর। যত শতাংশই ভোট পড়ুক না কেন সেটা আইনানুগ হবে। কিন্তু ভোট কম পড়লে সেটা নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই, বহির্বিশ্বেও সমালোচনা হবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গড়ে ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ২৫৯টিতে জয়ী হন। তাদের শরিক দলগুলো ২৯টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগসহ শরিক দলগুলো মিলে গঠিত মহাজোট ওই নির্বাচনে মোট ২৮৮টি আসন পায়। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া সর্বশেষ তিনটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ছিল সবচেয়ে বেশি, ৮৭.১৩ শতাংশ। যা বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
একাদশ জাতীয় সংসদের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬টি আসন শূন্য হওয়ায় সেখানে উপ-নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। এর মধ্যে ৩৫টিই ছিল সাধারণ আসন। আর বিএনপির ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পদত্যাগ করায় সংরক্ষিত একটি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
যেসব উপ-নির্বাচন করতে হয়েছে আউয়াল কমিশনকে
কিশোরগঞ্জ-১, বগুড়া-৬, রংপুর-৩, চট্টগ্রাম-৮, ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪, বগুড়া-১, যশোর-৬, পাবনা-৪, ঢাকা-৫, নওগাঁ-৬, ঢাকা-১৮, সিরাজগঞ্জ-১, লক্ষ্মীপুর-২, ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫, সিলেট-৩, কুমিল্লা-৭, সিরাজগঞ্জ-৬, টাঙ্গাইল-৭, গাইবান্ধা-৫, ফরিদপুর-২, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, চট্টগ্রাম-৮, ঢাকা-১৭, চট্টগ্রাম-১০, নেত্রকোণা-৪, লক্ষ্মীপুর-৩ ও পটুয়াখালী-১। এর মধ্যে বগুড়া-৬ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দুইবার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং সংরক্ষিত একটি আসন মিলিয়ে সাতটি আসন বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হয়।
ভোটের হার কমেছে সিটি নির্বাচনে
কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের আওতায় অনুষ্ঠিত হওয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পূর্বের তুলনায় অনেক কমতে দেখা গেছে ভোটের হার। ২০১৮ সালের তুলনায় সিটি ভোটে এবার ভোটার উপস্থিতি ৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি কমে যায়। আর আগের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এ হার আরও কম। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি যথেষ্ট বলে অভিমত ইসির। অথচ, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে হওয়া গাজীপুর, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পূরণ হয়নি তা-ও। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, ৫৬.২০ শতাংশ। আর বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বা\চনে ভোটার উপস্থিত ছিল ৫১.৪৬ শতাংশ।
আউয়াল কমিশনের অধীনে এই পাঁচ সিটি নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়-
গাজীপুর সিটি : গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪৮.৭৫ শতাংশ। এর আগে, ২০১৮ সালে এ সিটিতে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ওই সময় ভোট পড়েছিল ৫৮ শতাংশ। আর ২০১৩ সালে এই সিটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের হার ছিল আরও বেশি, ৬৮ শতাংশ।
বরিশাল সিটি : গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫১.৪৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৮ সালের এখানকার নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫৫ শতাংশেরও বেশি। এ ছাড়া, ২০১৩ সালে ৭২.১ শতাংশ ও ২০০৮ সালে ৮১.৯৯ শতাংশ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে।
খুলনা সিটি : গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়ে ৪৮.১৭ শতাংশ। অথচ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা সিটিতে ভোট পড়ার হার ছিল ৬২ শতাংশের মতো। এর আগে ২০১৩ সালে ভোট পড়েছিল আরও বেশি। সেবার ভোটের হার ছিল ৬৮.৭০ শতাংশ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ সিটিতে ভোট পড়েছিল ৭৭.৮০ শতাংশ।
সিলেট সিটি : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ভোট পড়ে ৪৬.৭১ শতাংশ। ২০১৮ সালে এই হার ছিল ৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া, ২০১৩ সালে ভোট পড়ে ৬২ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ভোট পড়ে ৭৫ শতাংশ।
রাজশাহী সিটি : এবার সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এ সিটিতে এবার ভোট পড়ে ৫৬.২০ শতাংশ। তবে, ২০১৮ সালে এখানে ভোটের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০১৩ সালে ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ৮১.৬১ শতাংশ।
বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে ভোটার চিত্র
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ দেশে প্রথম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট ভোটার ছিলেন তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন। ভোটে এক কোটি ৯৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৩ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট পড়ার হার ছিল ৫৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ১৯৭৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন তিন কোটি ৮৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৮ জন। এর মধ্যে এক কোটি ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৪ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। ভোট পড়ার হার ছিল ৫১.১২ শতাংশ।
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন : তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন চার কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৯ জন। এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছিল দুই কোটি ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৫০টি। শতাংশের হিসেবে যা ৫৯.৫৮।
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল চার কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮২৯। নির্বাচনে দুই কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার ৮৫৮ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। ৫৪.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ছয় কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৪৩ জন। এ নির্বাচনে মোট তিন কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৩ জন ভোট দিয়েছিলেন। ভোট পড়েছিল ৫৫. ৪৫ শতাংশ।
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ দুই হাজার ৪১২ জন। ভোট দিয়েছিলেন এক কোটি ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮১ জন। যা মোট ভোটারের মাত্র ২৬.৫ শতাংশ।
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : মাত্র চার মাসের ব্যবধানে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৩ জন। ভোট পড়েছিল ৭৪.৯৬ শতাংশ। ভোট দিয়েছিলেন চার কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৬ জন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সাত কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৪ জন ভোটার ভোট দেন। এ নির্বাচনে পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৭৫.৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ছবিসহ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আট কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার তিনজনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই ভোটে সাত কোটি ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ নির্বাচনে ৮৭.১৩ শতাংশ মানুষ ভোট দেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন নয় কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন। এ নির্বাচনে ১৫৩ আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৪০.০৪ শতাংশ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রইয়োগ করেন সেবার।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় গাইবান্ধা-৩ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট স্থগিত করা হয়। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪০ লাখের বেশি। সেই হিসাবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কেমন হতে পারে— এমন প্রশ্নে সাবেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে যে উপ-নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেখান থেকে দেখেছি যে কোনোভাবেই ভোটার উপস্থিতি ৪০ শতাংশ হয় না। এবার বিএনপি নির্বাচনে নেই, সেহেতু কোনোক্রমেই ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়বে না।
৪০ শতাংশ ভোট পড়লে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলা যাবে কি না— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আইনে বলা আছে ৫ শতাংশ ভোট পড়লেও সেটা আইনানুগ নির্বাচন। কিন্তু ভোট কম পড়লে সেটা নিয়ে কথা হবে।’
সুষ্ঠু ভোট করার ক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনকে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নে সাবেক ইসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ শব্দগুলো প্রচণ্ড আপেক্ষিক বিষয়। এবার দলীয় কোনো লড়াই থাকছে না। ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির লড়াই চলছে। জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগের, বেশির ভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীও আওয়ামী লীগের। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ভোট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
বর্তমান কমিশনের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হবে— উত্তরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে শুরু থেকে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর অবস্থান নেওয়া দরকার। তারা দৃষ্টান্তমূলক কঠোর অবস্থানে যদি না যায়, নিশ্চিতভাবে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিঘ্নিত হবেই।
এরপর তিনি বলেন, সরকারের অধীনে থেকে যারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে আসে তারা নির্বাচন কমিশনের আদেশ-নির্দেশগুলো খুব একটা মানতে আন্তরিক হয় না। এটা সাম্প্রতিক সময়ের কার্যক্রমেই দেখা গেছে। এ আন্তরিকতার আমূল পরিবর্তন না হলে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব থেকেই যাবে। এটি থেকে মুক্তি পাবে না নির্বাচন কমিশন।