দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৭ বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং ৭৩ সাংবাদিক নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অ্যাক্রিডিটেশন বা নিবন্ধন পেয়েছেন। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ৬০ বিদেশি অবজারভার এক্সপার্টস এবং এরই মধ্যে ১৭ জন সাংবাদিক ঢাকায় পৌঁছেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই শেষে তারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চার জন, কমনওয়েলথ থেকে ১৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) থেকে ১২ জন, ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশন থেকে ১০ জন, জাপান থেকে ১৬ জন, আফ্রিকান ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্স থেকে ১০ জনসহ অন্যরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবেন।
এছাড়া, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) পক্ষ থেকে দুজন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, একজন ভারতীয় ও একজন মার্কিন নাগরিক, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
গত নির্বাচনে কিছু অনভিজ্ঞ বিদেশি নাগরিককে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয় ইএমএফ এবং সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন।
২০১৮ সালে কমনওয়েলথ, ওআইসি ও ফিলিপাইনভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়ান ইলেকশন অথরিটিসের ৩৮ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন ৬২ জন বিদেশি এবং ৬৯ জন বাংলাদেশি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সড়ক পথে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও থেকে দুই ঘণ্টার দূরত্বে থাকা কেন্দ্রে যেতে পারবেন নিবন্ধিত বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। ঢাকার বাইরে বিমানে যোগাযোগ আছে এমন জায়গাগুলোতে তারা যেতে পারবেন। কারণ সব জায়গায় তাদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার কাজটি কঠিন হবে। আবার তারা নিজ দায়িত্বে গিয়ে কোনো বিপদের সম্মুখীন হোন এটাও কাম্য নয়। এসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যে কোনো ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না।
২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন অন্তত ১৬৯ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক। এর আগে ২০০৮ সালে ৫৯৩ এবং ২০০১ সালে ২২৫ জন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুসন্ধান মিশন ৬ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও এনডিআইয়ের মার্কিন যৌথ মিশন ৮ থেকে ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করে।
এনডিআই ও আইআরআইয়ের পাঁচ জন বিশ্লেষকের সমন্বয়ে একটি দল ইতিমধ্যে ঢাকায় আছে।