ধামরাই (ঢাকা) থেকেঃ-
মোঃসাইফুল ইসলাম,
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় মানুষকে থাকার জন্য ঘর দেওয়ার পর এবার দেশের ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের একতলা বিশিষ্ট পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বীর সেনাদের সম্মানে অসচ্ছলদের দেওয়া হচ্ছে এই ঘর। সেই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলান ধামরাই উপজেলার ১১ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছে সরকারের দেওয়া উপহার হিসেবে এই নান্দনিক ঘর।
তবে একজন মুক্তিযোদ্ধা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মোট ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার নামে ঘরের তালিকা ছিল। কিন্তু ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের গোমগ্রাম এলাকার আব্দুল মজিদ নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকা থেকে বাদ পরে। কারণ তার নিজের জায়গা রয়েছে তবে তার নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ নেই। তাই নামটি বাদ পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় ১১ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের নিজের ভিটায় ২টি বেড, ২টি টয়লেট, ডাইনিং ও কিচেনসহ ৬৩৫ বর্গফুটের এই ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ডিপিপি প্রকল্প গঠন করে সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার ১২৩ কোটি টাকায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৮ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলায় যে সকল অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘর পাচ্ছেন তারা হলো, চৌহাট ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ, একই ইউনিয়নের চর চৌহাট এলাকার ফজলুর রহমান, বড় ভাকুলিয়া এলাকার রফিকুল ইসলাম ও ভাকুলিয়া এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর আলীর স্ত্রী সামছুন্নাহার, কুশুরা ইউনিয়নের টৌপের বাড়ি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ও বৈন্যা গ্রামের নূর নবী, যাদবপুর ইউনিয়নের আমছিমুর গ্রামের আব্দুল লতিফ ধানতারা গ্রামের নিতাই চন্দ্র ভৌমিক ও কুমারহাটি গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র মন্ডল, সূয়াপুর ইউনিয়নের কুটির চড় গ্রামের আব্দুস সাত্তার এবং বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর খাগাইল গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের স্ত্রী নুরুন নাহার।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থ সামাজিক অবস্থান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে এই ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে।
ধামরাই থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, ধামরাই উপজেলা থেকে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারের এই ঘর পাচ্ছে। আব্দুল মজিদ নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বাদ পড়েছে। তার জায়গা ছিল তবে যে মাপে জায়গা থাকার কথা সেভাবে নেই। নকশা অনুযায়ী না থাকায় তিনি ঘর আপাতত পাচ্ছেন না। তবে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনিও একজন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা। তিনি যদি জায়গা কিনে বা যে কোনো উপায়ে ব্যবস্থা করতে পারেন তবে তাকে যেন একটি ঘর দেওয়া হয়।