নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে ১৬টি ভোটকেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত

ফারিয়া তাবাসসুম সেতু, নেত্রকোনা:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে মোট ৮১টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) আর কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ৬৫টি কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
আসনটি নিরাপত্তার দিক থেকে পুলিশ কম গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করেছে।
অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র গুলি হলো- জামিয়া কাওমিয়া দারুল উলুম সেহলা মাদ্রাসা, মহেষপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঔটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িকুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিরিভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলংকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধলা যাত্রাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধারা দাখিল মাদ্রাসা, ইচুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবুইডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনটি উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮১ টি । মোট ভোটার রয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৬ শ’৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯ শ’ ১৬, মহিলা ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭ শ’ ৮২ ও হিজরা ভোটার ১ জন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং অফিসার মো. খবিরুল আহসান জানান, নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব দায়িত্বপালন করবে। নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রসমূহে মোবাইল টিম কাজ করবে। থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
৬ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে সকল বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং সেল। নির্বাচনকে ভীতিহীন করতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র গুলোতে র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সেনাবাহিনী ও বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে যেন ভোট দিতে পারেন সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।