আজ আ.লীগের ইশতেহার ঘোষণা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করবে আজ বুধবার। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই ইশতেহার উপস্থাপন করবেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতে সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, আওয়ামী লীগের কাছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইশতেহারে সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা তৈরি করেছে। এর প্রতিটি অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, এবারও নির্বাচনী ইশতেহার হবে স্মার্ট ও গণমুখী। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে, তার মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আগামী দিনে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হবে এবারের মূল প্রতিপাদ্য। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।
ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির কাজ শেষ হয়েছে। এবারের ইশতেহারের মূল থিম- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের কীভাবে কাছে টানা যায় সেটি ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সংবলিত ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের সেøাগান ছিল ‘দিনবদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে সেøাগান ছিল, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’, এবারের সেøাগান হচ্ছে উন্নয়ন দৃশ্যমান এবার বাড়বে কর্মসংস্থান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত ইশতেহার।