স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মেরে ফেলার হুমকি!

ফারিয়া তাববাসুম সেতু, নেত্রকোনা:
নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা ও কর্মীদের প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছেন নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ আসনে নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কিন্তু নির্বাচনী কাজ শুরু করার পর থেকেই নানাভাবে নির্বাচনী কাজে বাঁধা ও দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি, অপপ্রচার এবং নৌকার প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রুহীর বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারণায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে। যা পুরোপুরি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর দুর্গাপুর পৌরসভার তেরীবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রুহী তার বক্তব্যে বলেন, আমি সন্ত্রাসীদের বাপ, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন তিনি। এদিন বিকেলে কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ফারুক ও সহসভাপতি খাইরুল ইসলাম কৈলাটি বাজার, পাগলা বাজারে আমার প্রচারণায় মাইকিং করতে গেলে তাদের বাঁধা প্রদান করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর নাজিরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কার নির্বাচনী অফিসের কাজ করার সময়ে যুবলীগ নেতা বাচ্চু মিয়াসহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমার কর্মীর শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে অফিস থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে মারধর করে ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি ওই অফিসের দায়িত্বে থাকা আরেক কর্মী মাসুদ মিয়াকে তার বাড়ি যাওয়ার পথে আটকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়া গত ২২ ডিসেম্বর কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী বাজারে বিকেলে নির্বাচনী জনসভায় কলমাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার ও কৈলাটি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন তাদের বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেবে না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন। পাশপাশি ট্রাকের কর্মীদের চিহ্নিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। একই সময়ে সিধলী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর টানানো পোস্টার ছিড়ে ফেলে। স্বতন্ত্র প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা।
এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অবগত করা হযেছে। তিনি সুষ্ঠু নিবার্চনের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ পরিবারের সন্তান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. চাঁন মিয়া ফকির, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, যুবলীগ নেতা মোবেন ইবনে সাঈদ স্ট্যালিন, কুতুব আলী, আবু রায়হান প্রমুখ।