স্তন ক্যানসার সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পেলেন যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসানসহ ১০ সাংবাদিক। মঙ্গলবার স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম’ আয়োজিত আলোচনা সভায় ১০ সাংবাদিকের হাতে কৃতজ্ঞতা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০ সাংবাদিক হলেন, বৈশাখী টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রীতা নাহার, আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ রাব্বি, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সকাল-সন্ধ্যার সিনিয়র রিপোর্টার জাকিয়া আহমেদ, বৈশাখী টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাবণী গুহ রায়, এখন টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মুজাহিদ শুভ, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মিসবাহ, যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার লাভলী আক্তার বিথী, দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার (মহিলা অঙ্গন) রাবেয়া বেবি, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ এবং যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান।
ফোরামের ১০ বছর পূর্তির আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আইইডিসিআরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক জাকির হাবীব, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশিষ্ট গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. হালিদা হানুম আক্তার, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম, সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এএফএম সরওয়ার কামাল এবং সাবেক স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশে স্তন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। তবে রোগটি সম্পর্কে জনচতেনতা তৈরি এবং চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করতে পারলে ৯০ শতাংশ স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য সবার আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এএফএম সরওয়ার কামাল বলেন, স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। আরেক সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোগটি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্ক্রিনিং ও চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য করা জরুরি।