প্রতিদিন মানবদেহে কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন

ফাইল ছবি

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ আমাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও বিকাশের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে এটি ভালোভাবে হজম হওয়াও জরুরি। প্রোটিনকে বিল্ডিং ব্লক অব লাইফ-ও বলা হয়। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টসের একটি হলো এই প্রোটিন। বাকি দুটি হলো ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট। এই তিন উপাদান আমাদের শরীরের গঠন ও বিকাশে সহায়তা করে। নিয়মিত প্রোটিন গ্রহণ করলে তা পেশি তৈরি থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখা, চুল পড়া বন্ধ করাসহ আরও অনেক উপকার করে। তবে কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাটের মতো প্রোটিন শরীরে জমা থাকে না। তাই বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে মনোযোগ কমে যাওয়া, পেশির দুর্বলতা, ওজন বৃদ্ধি, অলসতা, বিভ্রান্তি ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে কিংবা এটি ঠিকভাবে হজম না হলে সমস্যা আরও বেশি হতে পারে।

অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। একথা প্রোটিনের ক্ষেত্রেও সত্যি। কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের অসুবিধা সম্পর্কে-

অন্ত্রের সমস্যা

প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় প্রোটিন প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে। তবে প্রোটিন ঠিকভাবে হজম হওয়ার বিষয়টিকে আমরা বেশিরভাগ সময়েই গুরুত্ব দেই না। অথচ এর ওপর নির্ভর করে আমার প্রোটিন থেকে সুবিধা পাবো কি না। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে বা এটি ঠিকভাবে হজম না হলে অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। সেসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ইত্যাদি।

ওজন বৃদ্ধি

ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে এর ঠিক উল্টোটা ঘটে। অর্থাৎ ওজন বেড়ে যেতে পারে। জার্নাল ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন অনুসারে, অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে তা ফ্যাট জমা করে। যে কারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

ডিহাইড্রেশন

অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে তা শরীরে ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করতে পারে। ফেডারেশন অব আমেরিকান সোসাইটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব খেলোয়াড় নিয়মিত বেশি প্রোটিন খান তাদের হাইড্রেশন লেভেল তুলনামূলক কম।

কিডনির সমস্যা

হাভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, যারা অতিরিক্ত প্রোটিন খায় তাদের কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়ার ফলে অনেক বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট জমা হয় যা আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশনে বাধা দেয়।