আজ শুধু শোকের দিন

ছবি সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্টঃ স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজ ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী। বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। ওইদিন ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় হবে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা। কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে জোহরের নামাজের পর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থা জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে মিল রেখে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।

ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শোকের মাসের শুরু থেকেই বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে আসছে। ঘোষিত কর্মসূচিতে রয়েছে জাতীয় শোক দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে সংগঠনের সর্বস্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৬টায় শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া। সকাল ৭টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেবেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকেও হত্যা করা হয়।

সেদিন বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলও ঘাতকের বুলেটের আঘাতে প্রাণ হারান। তবে সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।