২২ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি সংগৃহীত

ডেস্ক নিউজঃ  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ গ্রহণ করেন দেশে একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। এরই অংশ হিসাবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি এ পর্যন্ত চার দফায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৯ আগস্ট) পঞ্চম ধাপে আরও ২২ হাজার ১০১টি গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবারকে ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এ নিয়ে মোট ২১টি জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হবে।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খুলনার তেরখাদার বারাসাত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্যাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর হস্তান্তর করবেন। এর মধ্য দিয়ে ১২৩টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।

আগের ২১১টিসহ মোট ৩৪৩টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।

স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসাবে গ্রহণ করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে শেখ হাসিনা দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থানের নিশ্চয়তার ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, সরকারি উদ্যোগে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের এ নজির পৃথিবীতে অনন্য। কারণ পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বাড়ি বিতরণ করা হয়নি।

শুধু স্বাভাবিক মানুষই নয়, প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্যও। তাদের (তৃতীয় লিঙ্গ) স্বীকৃতির পর নিজেদের স্থায়ী ঠিকানাও করে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পাবনা সদরের হেমায়েতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন-মিতুল, সুমি, ভাবনা, মিষ্টি, নদী, টুকটুকি, ঐশি, বেলা, মোকলেছুর রহমান, রিপ্তি। মিতুল তাদের ‘গুরু মা’।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১০ জনকে ঘর দেওয়া হলেও সেখানে থাকেন ১২ জন। এক পাতিলে রান্না করে খান সবাই। হাঁস, মুরগি, ছাগল, গরু আছে। সবাই মিলে আঙিনায় চাষ করছেন নানা ধরনের সবজি।