লাইফস্টাইল ডেস্কঃ কদম ফুল আর বর্ষার ভালোবাসা বাংলার প্রকৃতিতে চিরকালের। বর্ষার শুরুতেই কদম ফোটে বৃষ্টির ভালোবাসার ছোঁয়া নিতে। বৃষ্টিতে ভিজে নাচতে থাকে পুবালি বাতাসে। বৃষ্টিভেজা কদম দেখে কবির হৃদয় নেচে উঠে। কদম ফুল আর বর্ষার প্রেম দেখে তাই তো কবিগুরু রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান/আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান।’
সারাবছর অবহেলায় পড়ে থাকা কদম গাছটি বর্ষা এলেই হয়ে উঠে প্রেমিক হৃদয়ের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। বৃষ্টিভেজা কদম ফুলের পরশ নিতে ব্যাকুল থাকে মন। বর্ষার গানে কদম ফুলের ঠাঁই না হলে যেন কেমন জানি শূন্যতা লাগে। বৃষ্টিতে ভেজার আশা পূরণ হয়নি কদম ফুলের। বর্ষার এই সময়ে প্রতি বছর প্রচুর কদম ফুল ফোটে, ছোট-বড় গাছগুলোতে। তার ব্যত্যয় ঘটেনি এই বছরের। তবে এ বছর গাছে গাছে কদম ফুল বেশি দিন শোভা পায়নি। বৃষ্টিহীনতা আর খরার কারণে কদম ফুলগুলো আকারে ছোট হয়েছে। একইসঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে ফুলগুলোর পাপড়িগুলোও খরায় পুড়ে ঝরে গেছে।
তবে এখন গাছে গাছে ফুলের পরিবর্তে কদম ঝুলে আছে। কদমগুলোর বেশিরভাগই পাপড়ি ঝরে গেছে। কিছু কিছু কদমের পাপড়ি থাকলেও তা মরে গেছে। হালকা বাতাসেই ঝরে পড়ছে। যে গাছগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও ছোট-বড় কদম ফুলের দেখা মিলেছে। সেই গাছগুলোতে কদম ছাড়া ফুলের দেখা পাওয়া ভার।
কদম ফুল বর্ষার প্রতীক। আষাঢ়ে বর্ষায় বৃষ্টিস্নাত ফোটা কদম চিরাচরিত হলেও প্রকৃতির পালাবদলে ব্যত্যয় ঘটেছে। অপ্রতুল বৃষ্টির বর্ষা যেন এখনও ধুতে পারেনি ভরা যৌবনের কদমকে। ফলে কান্নাহীন আষাঢ়-শ্রাবণ কদম ফুলকে উপহার দিয়েছে কষ্ট। শ্রাবণের আকাশে মেঘেদের লুটোপুটি থাকলেও ঝরাতে পারেনি বৃষ্টি। যেন কাগজে-কলমে বর্ষার বৃষ্টি এসেছিল ঠিকই, কিন্তু কথা না রেখে চলে গেছে।