‘দুই ভাই চেষ্টা করেও মালামাল সরাতে পারিনি’

দুই ভাই সকাল থেকে চেষ্টা করেও দোকানের সব মাল বের করতে পারি নাই। আমার নতুন দোকান ছিল; সবই শেষ। এভাবেই অসহায়ের মতো নিজের কষ্টের কথা বলেন বঙ্গবাজারের আর কে টপস দোকানের মালিক আব্দুর রাজ্জাক।

রাজ্জাক বলেন, ক্যাশে তিন লাখ টাকা ছিলো মাত্র এক লাখ টাকা বের করতে পেরেছি। আর মালামাল বের করে যা রাস্তায় রেখেছিলাম সেগুলোও বাচাতে পারিনি। সব পুড়ে গেছে।

দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট কাজ করছে। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান।

এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।