মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র নয়নের খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।শুধু এই খাল নয়, প্রতিটি খালের এমন দশা। ফলে এক সময়ের দৃষ্টিনন্দন এসব খালগুলো পরিণত হয়েছে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর প্রজননক্ষেত্র হিসেবে।পুরো পৌরসভাজুড়েই যত্রতত্র ময়লা ফেলে পৌরসভাকে পরিণত করা হয়েছে উন্মুক্ত ময়লার ভাগাড়ে
।সরোজমিন ঘুরে দেখা গেছে,খাল ছাড়াও বিভিন্ন সড়ক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা হাট-বাজার সর্বত্র এখন ময়লার স্তুপ।এতে পরিবেশ দূষণসহ মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারখানায় পরিণত হয়েছে পৌরসভা।এছাড়াও রিকাবিবাজার থেকে পৌরসভা কার্যালয়ে যাওয়ার একাধিক ব্রীজ রয়েছে,যার প্রতিটির দুই পাশে ও নিচে ময়লার স্তুপ।বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনেও নেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।পুরো পৌরসভার বাসাবাড়ী থেকে শুরু করে বাজারের ময়লা,আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করার প্রতিযোগিতা চলছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থাকলেও কোনো প্রতিকার নেই।ফলে যেখানে-সেখানে ময়লা,আবর্জনা ফেলে ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়েছে পুরো পৌরসভা।চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে দিনাতিপাত করছেন পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন,ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। ছড়াচ্ছে রোগবালাই।আমরা এর প্রতিকার চাই।তারা আরো বলেন,সময়মতো কর দেয়া হচ্ছে তারপরেও পৌরসভার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনার সাথে যুদ্ধ করে চলে জীবন।এই পৌরসভাতে ভোটার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার।যার বিপরীতে পৌর বাসিন্দা হবে লক্ষাধিক।গত ৯ বছর আগে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হয়েছে।এই দীর্ঘ সময়েও পৌর এলাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
জেলা বিএম’র সভাপতি ডা. মো:আখতার হোসেন বাপ্পি বলেন,চারদিকে ময়লা-আবর্জনা থাকলে শ্বাসকষ্ট,ডায়রিয়া, কলেরা,টাইফয়েড,হেপাটাইটিস বি,জন্ডিস ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে।তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।
পৌর মেয়র হাজী মো:আব্দুস সালাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পৌরসভা পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে।কিন্তু পৌর নাগরিকরা অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।তবে অতি শিগগিরই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে।