আলোকিত স্বদেশ ডেস্কঃ মঙ্গলবার সকাল থেকে বেতন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মত বিরোধ, চাকরিতে ছাঁটাই, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মতো নানা সংকটের কারণে রেলকর্মীরা এই ধর্মঘট শুরু করেছেন। খবর বিবিসির।বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসজুড়ে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট শুরু করেছেন হাজার হাজার রেলকর্মী। নেটওয়ার্ক রেল এবং ১৩টি ট্রেন ফার্মের ৪০ হাজারের বেশি ইউনিয়ন সদস্য মধ্যরাত থেকেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মাত্র ২০ শতাংশ ট্রেন সেবা চালু রয়েছে। বহু এলাকাতেই আদৌ কোনো ট্রেন চলাচল করছে না।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। কর্মীরা বৃহস্পতিবার ও শনিবারও ধর্মঘট পালনের পরিকল্পনা করেছে। এতে অনেকেরই ট্রেনভ্রমণ বাতিল হয়ে গেছে এবং মানুষকে বিকল্প পরিবহণের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হতে হচ্ছে। বিকল্পব্যবস্থা হিসেবে মানুষ বাসের দিকে ঝুঁকে পড়ায় সেখানেও জট সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ইংল্যান্ডে ট্রেন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। একেবারেই ন্যূনতম কিছু সেবা চালু রয়েছে। ফলে সেখানে মানুষ কেবল জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করতে পারছে না।
থামসলিংক, গ্রেট নর্দার্ন, চিলটার্ন, ইস্ট মিডল্যান্ডস, লন্ডন, নর্থ ওয়েস্টার্ন ট্রেন সার্ভিস খুবই কম সেবা চালু রেখেছে। যুক্তরাজ্যজুড়ে রেলস্টেশনগুলো খাঁ খাঁ করছে। কয়েক দশকের মধ্যে কঠিন অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়া নাগরিকদের জন্য আরও বেশি কিছু করতে চাপের মুখে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
তবে ধর্মঘটের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলো বলছে, এটি কেবল শুরু। যে হারে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হচ্ছে, তাতে শিক্ষক থেকে শুরু করে চিকিৎসক —এমনকি মেথর পর্যন্ত সবাই নিজ নিজ দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসবে। চলতি মাসে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ বেড়েছে।