আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. নুরুল কাদের (২২)
ও গাউসুল আজম (২৩) নামে আরও দুইজন মারা গেছেন।
রোববার (১২ জুন) দুপুরে ১টা ৫৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল পার্ক ভিউতে মারা যান মো. নুরুল কাদের (২২)। ঘটনার পর থেকেই নুরুল কাদের পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আজ দুপুরে আইসিইউতে তিনি মারা যান।এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাত ৩টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ারম্যান গাউসুল আজম (২৩)। সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি। গাউসুল আজম যশোরের মনিরামপুরের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন নেভাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। তার শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে যায়। নেওয়া হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে লাইফসাপোর্টে রাখা হয় তাকে।
গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দমকলকর্মীসহ ৪৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।