আলোকিত স্বদেশ রিপোর্টঃ
বেআইনিভাবে ভারতে ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি টাকা যিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে ভারতে নিয়ে এসেছেন সেই পিকে হালদার নিজেই জানেন না এই টাকার উৎস কোথায় । আবার ভুয়া নথি তৈরি করে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে দাবি করেছেন।
কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলেও তার উৎস বা রোজগারের সঠিক কোন ভারতীয় তথ্য দিতে পারেননি। ব্যাংক জালিয়াতি করে ফেরার বাংলাদেশি পিকে হালদারের জেল হেফাজত চেয়ে এমনই দাবি করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষে সরকারি আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী।
শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তীর ভাষ্যমতে এটা খুবই গুরুতর বিষয়। তদন্তে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বহু বেআইনি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলেও তার উৎস বা রোজগারের ভারতীয় তথ্য দিতে পারেননি পিকে হালদার।
পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে । পিকে হালদারসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দেন বিচারক সৌভিক ঘোষ। এ আদেশের ফলে পিকে হালদারসহ আটক বাকিদের ৭ জুন ফের আদালতে হাজির করা হবে। অবশ্য জেলে থাকলেও প্রয়োজনে তাদের ফের জেরা করতে পারবেন ইডির গোয়েন্দারা।
অভিযুক্ত পিকে হালদারের আইনজীবী হায়দার আলী ও সোমনাথ ঘোষের ভাষ্যমতে , আসামিরা ১৪ দিন ধরে ইডির রিমান্ডে ছিলেন।এটা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের যদি ্বিদেশি বলা হয়, তাহলে ফরেনার অ্যাক্টসে মামলা দিতে বাধা কোথায়?
সরকারি আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এটা এত সহজ ব্যাপার নয়। এ টাকা বাংলাদেশের। অর্থ বাংলাদেশের ব্যাংকের। ভারতেও পিকে হালদার তার প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। এর সঙ্গে ইডি যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পেয়েছে তার কোনো সোর্স অব ইনকাম দেখাতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে এখন অনুসন্ধান চলছে।
আসামিপক্ষের দুই আইনজীবী জানিয়েছেন , তারা পিকে হালদার নামে কাউকে চেনেন না। তারা যার হয়ে মামলা লড়ছেন , তিনি শিবশঙ্কর হালদার এবং তিনি ভারতীয়।