বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৩ ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

আলোকিত স্বদেশ রিপোর্ট:

গত ২০ সেপ্টেম্বর দেশের ৬ জেলার ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। ৪৩টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পাওয়ায় সেগুলোয় চেয়ারম্যান বাদে বাকি পদে ভোট হয়। বাকি ১১৭টিতে চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে। এ নির্বাচনে ইভিএম’এ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট হওয়া আট ইউপিতে ৬৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ব্যালটে ভোট হওয়া ১০৯টিতে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

নির্বাচন না করে ৪৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় নির্বাচনকে ম্লান করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটের টার্নআউট মোটামুটি ভালো ছিল, শতকরা ৬৯ দশমিক ৩৪ ভাগ। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচন না করেই চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হওয়া, নির্বাচনকে ম্লান করে দিয়েছে।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচন সম্পর্কে আমার কথা’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি মাহবুব বলেন, ৯টি পৌরসভায় তিনজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন যেহেতু অনেকের মধ্যে বাছাই, সেহেতু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পদে আসীন হওয়াকে নির্বাচিত হওয়া বলা যায় কি, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। আরও বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনে বহুদলের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ১৭ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমি ছয়দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করি। কয়েকজন সাংবাদিক এ সময় অনুষ্ঠিত ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে আমার সাফল্য ও ব্যর্থতা জানতে চান। এ সংক্ষিপ্ত সময়ে আকস্মিকভাবে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন সাধন সম্ভব নয়।তারপরও কিছু কথা থেকে যায়। উল্লিখিত নির্বাচনে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

জীবনের চেয়ে নির্বাচন বড় নয়- এ কথাটি পুনর্ব্যক্ত করে ইসি মাহবুব বলেন, তবু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ে সহিংসতা রোধ করা গেল না। নির্বাচনে ঘটনা বা দুর্ঘটনা যা-ই হোক না কেন, নির্বাচন কমিশনের ওপরই দায় এসে পড়ে।