আলোকিত রিপোর্ট:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ( এমপি)।
শনিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বিএম ভবনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তবে আমাদের জানা উচিত কেন এই হত্যা ও কারা হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ কর্নেল ফারুখ খান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা জানাতে জিয়াউর রহমানের কাছে যান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা শুনে জিয়া জানান আমরা উধ্বর্তন কর্মকর্তা হয়ে সরাসরি এ কাজ করতে পারি না। তবে সেনা সদস্যদের দিয়ে করানো যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জেনারেল জিয়া পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ জিয়া ও তার সব সহযোগী স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। আজকে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে রোল মডেলে পরিচিতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনীতি করলে নীতি থাকতে হয়। আর সত্য কথা সাহসের সাথে বলতে হয়।
জঙ্গিবাদের কথা উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ওই জামায়াত বিএনপি জঙ্গিবাদী সরকার কায়েমের ষড়যন্ত্র করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে আমরা জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে সক্ষম হই।
২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো । গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ প্রাণ হারান ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে লক্ষীপুর ২ আসনের সংসদ অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন নয়ন বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির জাতির না তিনি ছিলেন বিশ্ব বন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে যে শুধু কয়েকজন বিপগামী সেনা সদস্য হত্যা করেছে এমন নয়। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা ছিলো দেশিও ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এছাড়া সাম্রাজ্যবাদীরাও জড়িত ছিলো বলে জানা যায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত মানুষের পক্ষে। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ছিলো বাংলার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফাউন্ডেশন সভাপতি হেদায়েত হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন, মো. লুৎফুর রহমান খান, মো. শরীফ আবুল খায়ের, মো. হারুনুর রশিদসহ আরও অনেকে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।