স্পোর্টস ডেস্ক:
চলতি বছরেই যুব বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাবেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে। দুটো বিষয়কে সামনে রেখে সিলেটে যখন অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রান্তিক নরোরোজ নাবিল, সাকিব শাহরিয়ার, এইচ মোল্লারা, তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তাদের সতীর্থ উইকেটকিপার তৌহিদুল ইসলাম ফেরদৌস।
করোনা, ডেঙ্গি বা অন্য কোনো অসুখ-বিসুখে নয়, মাথায় বলের আঘাত লেগে এখন শঙ্কায় এ উদীয়মান ক্রিকেটারের জীবন।
জানা গেছে, সবশেষ লকডাউন দেওয়ার আগে ছুটি নিয়ে ঢাকা ছেড়ে নিজ শহর সিলেটে চলে যান তৌহিদুল। তবে প্র্যাকটিস ছাড়েননি। সেখানেই বিসিবির কোচ একেএম মাহমুদ ইমনের তত্ত্ববধানে একা একাই ব্যাটিং প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে থাকেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় একটি বাউন্সারি এসে সরাসরি তৌহিদুলের কপালে আঘাত হানে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান তৌহিদুল। তাকে দ্রুত সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে গেলে স্ক্যানের পর চিকিৎসকরা জানান, তার কপাল চূর্ণ হয়ে গেছে।
এসব তথ্য দিয়ে তাওহিদুলের কোচ একেএম মাহমুদ ইমন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় তৌহিদুল ইসলাম ফেরদৌসের বর্তমান অবস্থা ভালো নয়। আঘাতে পর তাৎক্ষণিক সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে তার চিকিৎসা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা দ্রুত ঢাকায় নিয়ে অস্ত্রপচারের পরামর্শ দেন। অবস্থা বেগতিক দেখলে আমরা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী পরবর্তী ব্যবস্থা করেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে গত ২১ আগস্ট অপারেশন হয় তাওহিদুলের ক্ষত স্থানে।’
তাওহিদুলের ব্যাপারে সিলেট বিভাগীর ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্যমতে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে তৌহিদুলের। তবুও মস্তিষ্ক বলে একটু শঙ্কা তো আছেই। উন্নত চিকিৎসকসার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সবরকম সংযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করবে বোর্ড। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারবে।’
গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ঘোষিত বাংলাদেশ স্কোয়াডে ছিলেন তৌহিদুল। করোনার হানায় সিরিজ স্থগিত করে পাকিস্তান। তাই তৌহিদুলের আর নামা হয়নি সেবার। তবে সুস্থ থাকলে আফগান সিরিজে উইকেটের পেছনে দেখা যেত তাকে।