আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, সেন্টমার্টিন দেশের একটি ভূখণ্ড। সেটি কারো দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না। এক ইঞ্চি জমিও কোনো বিদেশি শক্তির কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশের মানুষেরাই বসবাস করে। তাদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাদের জীবন ও জীবনমান সমুন্নত রাখা বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার। বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায়। সেন্টমার্টিন সরকারের নিয়ন্ত্রণেই আছে।
নাছিম বলেন, এরই মধ্যে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ নাফ নদ থেকে সরে গেছে। এই সমস্যা নিয়ে কূটনৈতিকভাবে কথা বলা হচ্ছে। যুদ্ধে না গিয়ে শান্তির মাধ্যমেই সেন্টমার্টিনের মানুষের নির্বিঘ্ন জীবনযাপনের বিষয়ে সরকার সংকল্পবদ্ধ। যুদ্ধ নয়, শান্তিই হলো একমাত্র মন্ত্র। যে মন্ত্রের মধ্যদিয়ে উন্নয়ন অগ্রগতির পথ প্রশস্ত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ যে অর্থসম্পদ লুট করেছেন, আইন অনুযায়ী বেনজীর আহমেদের বিচারের পথ তৈরি হয়েছে। তার ব্যাপারে আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু বেনজীরই নয়, দুর্নীতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এটা হলো আওয়ামী লীগ সরকারের নীতি। কোনো দুর্নীতিবাজের জায়গা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই। তেমনই এই সরকারও কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেবে না। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ লুট, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলবে, তাদের ওপর শেখ হাসিনা সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রযোজ্য হবে। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি অঙ্গীকার।
বেনজীর আহমেদকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করে নাছিম বলেন, ঘুম থেকে ওঠেই বিএনপি অভিযোগ দিয়ে যায়। তাদের কাজই হলো অসত্য কথা বলা। বিএনপি মনে করে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব। বিএনপি তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার রাখে না। কারণ, বিএনপি নিজেরাই দুর্নীতিবাজ। এই দুর্নীতিবাজরাই বড় বড় কথা বলছে। যেমন- চোরের মায়ের বড় গলা। দুর্নীতিবাজরা সবাইকেই দুর্নীতিবাজ মনে করে। দুর্নীতিবাজদের কবর রচনা করে বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দুর্বার গতিতে চলার পথে যারাই বাধা দেবে তাদের ওপর শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন হবে।
পরে বাহাউদ্দিন নাছিম দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রমুখ।