আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালোটাকা সাদা তো সাইফুর রহমান এবং খালেদা জিয়াও করেছেন। তাহলে খালেদা জিয়া ও সাইফুর রহমান কি দুর্বৃত্ত? তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে। সেজন্য আইন করা আছে। নতুন করে আইন করতে হবে না। নেত্রী যেটা বলেছেন, সেটা আমিও বলব-আধার দিয়েছি, রুই-কাতলা ধরা পড়বে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছিল। সেই অন্ধকার পথ থেকে এই দেশকে উদ্ধার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি লুটপাট বন্ধ করেছেন। দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। তবে তাদের বিচার করার সাহস শেখ হাসিনার আছে। লুটপাট করে কেউ পার পাবে না। এযাবৎকালে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের লোককে শায়েস্তা করার সাহস বিএনপির নেই। বুয়েটে কীভাবে সনি হত্যা হয়েছে? তার বিচার কি করেছে? আর বুয়েটে আবরার হত্যায় যে কয়েকজন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছে, সবাই ছাত্রলীগ বলে পরিচিত। বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার কি হয়নি? কিন্তু তাদের (বিএনপি) সময় একটা নেতার বিচার করেছে? আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কোহিনূর-এদের বিচার কি করেছে?
তিনি বলেন, বেনজীর, আজিজ-কেউ দুর্নীতি করে ছাড় পাবে না। তারা আওয়ামী লীগের লোক নন। একজন পুলিশ অফিসার, আরেকজন সেনা অফিসার। কথা হচ্ছে, দুর্নীতি করে সব ছাড় পেয়েছে? সরকার তাদের ছাড় দিয়েছে কি না? সেটা দেখার বিষয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। বিএনপির আমলে তো এটা আরও বেশি হয়েছিল। কিন্তু এটা যে মহোৎসব বা উৎসব, এটা তো বলা যায় না। কোনো ঘটনা ঘটলেই দুই দেশ একসঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করছে, পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থাও নিচ্ছে। হত্যার উৎসব বা মহোৎসব শব্দ বিএনপির আবিষ্কার করা। তারা নিজেরা যা চর্চা করে, এখনো তা-ই মনে করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ব্যর্থতা এত দগদগে-এখন তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে আমাদের হাসি পায়। কারণ, আন্দোলন তারা আর করতে পারবে না। তাদের আন্দোলনে দেশের জনগণ নেই। জনগণ যে আন্দোলনে থাকে না, সেই আন্দোলন কখনই সফল হয় না।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন নয়, আমরা ভয় পাই বিএনপির আগুন-সন্ত্রাসে। তারা আন্দোলনের নামে বাস ও ট্রেনে আগুন দেয়, মানুষ পুড়িয়ে মারে, পুলিশ সদস্যদের হত্যা করে। তাদের এ আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে আমরা আগের মতো শান্তি সমাবেশ নিয়ে মাঠে থাকব। জনগণের জানমাল রক্ষায় বিএনপির অগ্নি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমরা সবাই বধির হয়ে গেছি। চোখেও দেখি না, কানেও শুনি না। ৯ মাস পর চারজন হোস্টেসকে উদ্ধার করল। তাতে মনে হচ্ছে এখন বিশ্বনেতা হচ্ছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সব মিডিয়া তাকে মহামানব বানিয়েছে। আর বাইডেন সাহেব ফ্রান্সে বসে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, নেতানিয়াহু প্রশংসাজনক কাজ করেছেন। সেজন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। অথচ নারী-শিশুসহ ২১৩ জন হত্যা করে চারজনকে উদ্ধার করেছে। এই ২১৩ জনের কথা বলার কি কেউ নেই? এই শিশুদের কী অপরাধ? এরা কি হামাস? এই সিভিলিয়ান হত্যার বিচার কি হবে না? একটা কথাও বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর আমাদের আরববিশ্ব মনে হচ্ছে ঘুমাচ্ছে। আজ সারা পৃথিবীর মানুষ সাক্ষী-শেখ হাসিনা ছাড়া একজন রাষ্ট্রনেতা এ বিষয়ে কথা বলেনি।