রাশিয়ায় ৭ হাজার কনটেইনার অস্ত্র পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া : সিউল

VLADIVOSTOK, RUSSIA - APRIL 25: (RUSSIA OUT) Russian President Vladimir Putin (R) greets North Korean Leader Kim Jong-un during their meeting on April 25, 2019 in Vladivostok, Russia. Russian President Putin and North Korean leader Kim Jong-un met on the Pacific port city of Vladivostok on Thursday during their first ever summit. Reports have indicated that Pyongyang's nuclear programme will be at the top of the list of issues to discuss as the meeting between both leaders came soon after a failed summit between Kim and U.S. President Donald Trump in Hanoi, which ended without an agreement made.(Photo by Mikhail Svetlov/Getty Images)

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া প্রায় সাত হাজার কনটেইনার অস্ত্র রাশিয়ায় পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক।
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই দুই ঐতিহাসিক মিত্র দেশ বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে-ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য মস্কো এবং পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য পিয়ংইয়ং। দুই দেশের নেতা ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উন সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সুদূর পূর্বে একটি শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, পিয়ংইয়ং মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক বলেছেন, ‘উত্তর থেকে রাশিয়া পর্যন্ত কনটেইনারের সংখ্যা ৩০০ বেড়ে এখন পর্যন্ত মোট প্রায় সাত হাজার কনটেইনারে পৌঁছেছে।’
এ সংখ্যাটি জুলাই থেকে পাঠানো চালানের উল্লেখ করে শিন বলেছেন, ‘কিছু সামুদ্রিক রুট এখন স্থগিত করা হয়েছে, কিছু রাশিয়ায় রেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের অক্টোবরে বলেছিল, পিয়ংইয়ং থেকে মস্কোতে অস্ত্রের চালান যাচ্ছে। তারা অনুমান করেছিল, উত্তর কোরিয়া সেই সময় রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধাস্ত্রের এক হাজারেরও বেশি কনটেইনার সরবরাহ করেছিল। সিউল পরের মাসে পিয়ংইয়ংকে অভিযুক্ত করে, রাশিয়ায় ১০ লাখেরও বেশি রাউন্ড গোলা পাঠানো হয়েছে। এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া সামরিক পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য মস্কোর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ পেয়েছে বলেও জানায় তারা।
সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় সফরের সময় কিম জং উন ঘোষণা করেছিলেন, মস্কোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তাঁর দেশের ‘এক নম্বর অগ্রাধিকার’ ছিল। পিয়ংইয়ং ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের প্রবল সমর্থকও হয়ে উঠেছে।