যুগের পর যুগ ইসরাইলি আগ্রাসনের শিকার হলেও, এবারের মতো এমন রমজান এর আগে আসেনি ফিলিস্তিনিদের জীবনে। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, সেহরি আর ইফতারে কী খাবেন সেটিও জানা নেই গাজাবাসীর। ইসরাইলিদের ছোড়া বুলেট-বোমাকে সঙ্গী করেই এবার সিয়াম সাধনা করতে হবে উপত্যকার বাসিন্দাদের।
রোববার এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি বর্বরতায় ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে লাখ লাখ মানুষের বসতি। রেহাই পায়নি ধর্মীয় উপসানালয়ও। গাজার বেশিরভাগ মসজিদই এখন ধ্বংসস্তূপ। তবু থেমে নেই ইবাদত, সেই ধ্বংসস্তূপের পাশেই নামাজ আদায় করছেন ফিলিস্তিনিরা।
দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। পবিত্র এ মাসে সিয়াম সাধনায় কাটাতে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে মুসলিমবিশ্ব, তখন চরম অনিশ্চয়তায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে ফিলিস্তিনিদের। ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা হয়েছেন বহু আগেই। উপত্যকায় এখন খাবার আর পানির জন্য হাহাকার। না খেয়েই রোজা রাখতে হবে গাজাবাসীকে। তবু সৃষ্টিকর্তায় ইবাদত পালনে দৃঢ়প্রত্যয়ী তারা।
একজন গাজাবাসী জানান, আল্লাহর ঘরকে ধ্বংস হতে দেখার চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম পথপ্রদর্শক।
কয়েক যুগ ধরেই, সন্ত্রাস নির্মূলের নামে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলছে নির্মম নির্যাতন। তবু আগের বছরগুলোতে রমজান মাসে কিছুটা সংযত থাকতেন ইসরাইলি সেনারা। তবে এবার নেই সেই সম্ভাবনাও। পাঁচ মাস ধরেই লাগাতার আগ্রাসন তো চলছেই, বর্বরতা চালিয়ে যাওয়ার হুমকি-ধমকিও দিয়ে যাচ্ছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গাজায় আগ্রাসনের আঁচ লেগেছে পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমে। এই অঞ্চলগুলোতেও ব্যাপক ধর-পাকড় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। পবিত্র আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায় নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।