ইসরায়েলি হামলার ১০০ দিন, গাজা যেন মৃত্যুপুরী

ইসরায়েলি হামলার ১০০ দিন ছিল রোববার। ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাতের ১০০তম দিনেও গাজায় এখনো চলছে নির্বিচার হামলা। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ২৩ হাজার ৯৬৮ ফিলিস্তিনি। আহত ৬০ হাজার ৫৮২ জন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের তথ্যমতে, গাজায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০ জন নিহত হচ্ছেন। যাদের অধিকাংশ শিশু ও নারী।
জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএর হিসাবে উপত্যকাটির ৩ লাখ ৫৯ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। সেখানে ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৯ লাখই এখন অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত। খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৫টি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
গাজায় সংঘাতের শুরু গত ৭ অক্টোবর। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলে হামলা চালান সেদিন। হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি ইসরাইলি নিহত হয়। এ ছাড়া প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেন হামাস যোদ্ধারা। এর পর থেকে গাজায় নির্বিচার আকাশ, জল ও স্থলপথে হামলা চালানো হচ্ছে।
রোববার (১৪ জানুযারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘জয় না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাব।
রোববারও গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দক্ষিণের রাফা থেকে শুরু করে খান ইউনিস ও দেইর আল–বালাহ এলাকা, মাঘাজি ও বুরেজি শরণার্থীশিবির এবং মধ্যগাজার সালেহ আল–দিন সড়কে হামলার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলা নিহত হয়েছেন ১২৫ জন।