স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,বিএনপিকে কোথায় সমাবেশ করতে দেবেন কমিশনার (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ), সেটি কমিশনার সাহেব বুঝবেন। সংবিধানের ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে যদি বিএনপি কিছু করতে চেষ্টা করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটি তারা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান) এখন পর্যন্ত কাউকে সমাবেশের অনুমোদন দেননি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সমাবেশের অনুমোদনের অনুরোধ যেটা করেছে, ঠিক কিভাবে করেছে, আমাদের পুলিশ কমিশনার (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান) সেটা জানেন। পুলিশ কমিশনার ঢাকার কোন জায়গায় করলে এত লোক তারা আনবে, তারা ঘোষণা দিয়েছে কিংবা পত্র-পত্রিকায় জানান দিচ্ছে কিংবা স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাচ্ছে, আমাদের কাছে যেগুলো আসছে, তারা নাকি সারা বাংলাদেশ থেকে যারাই বিএনপি করেন, সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসবেন, কোনো সদস্যই বাদ থাকবে না— সেরকম আমরা শুনছি। সেরকম যদি হয়, তাহলে এত লোক ঢাকায় এলে একটা অন্য ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। সেজন্যই আমাদের কমিশনার সাহেব তাদেরকে কোথায় সমাবেশটা করতে দেবেন, সেটা কমিশনার সাহেব বুঝবেন। তিনি সেভাবেই সিদ্ধান্ত দেবেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমি সবসময় বলি- সব রাজনৈতিক দল, তাদের অধিকার রয়েছে তাদের গণতান্ত্রিক চর্চা করার, তাদের সবকিছুর প্রচার-প্রচারণা করার। কিন্তু তারও একটা নিয়ম-কানুন রয়েছে। নিয়মবহির্ভূত কিছু করলেই সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মানা করবেন, তাদের বলবেন যে, আপনারা আইন ভাঙছেন। কাজেই সেখানে আমাদের কথা স্পষ্ট। আমাদের ঢাকার কমিশনার এই দায়িত্বটা পালন করেন। তারা যদি কমিশনারের কাছে আবেদন করেন এবং তারা যদি বলেন যে, ‘আমরা ভাঙচুর করব, আমরা অবরোধ করব’, তাহলে তো কমিশনার সাহেব (অনুমোদন) দেবেন না, সেটাই আমি বলতে চেয়েছি। তারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেন, আমাদের কমিশনার সাহেব অবশ্যই তাদের অনুমতি দেবে, এটাই আমি বলতে চেয়েছি।
এ সময় সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান যে, বিএনপির আন্দোলন যেহেতু সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে। তাদের আন্দোলন ঘিরে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার তো এমন একটা কিছু নয় যে, তাকে ধাক্কা দিল আর পড়ে গেল। সরকার একটা গণতান্ত্রিক সরকার, ভোটের মাধ্যমে এখানে এসেছে। তার যে মেয়াদকাল, সেই মেয়াদকালের পরে একটা নির্বাচন হবে, তারপর সরকার পরিবর্তন হবে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, ধাক্কা দিলে সরকার পড়ে যাবে— এ ধরনের কোনো শব্দ লেখা নেই। কাজেই যেটা সংবিধানের বাইরে, সেটা রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেটা করার কর্তব্য, সেটা তারা করবে, এটাই সঠিক। সংবিধান রক্ষা করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সেখানে আর তো ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।