বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ১১০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে বড় সংগ্রহ করে কিউইরা। তাদের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে আফগানদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড করেছে ২৮৮ রান।
শুরুতে ডেভন কনওয়ে ফিরলেও রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে ছুটছিল কিউইরা। তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় টম লাথামের দল।
আজ বুধবার চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।
ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং উদ্বোধনী জুটি বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় মাত্র ৩০ রানে কনওয়ের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। মুজিব উর রহমানের স্পিন ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ২০ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তিন নম্বরে নামা রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেন ইয়াং। তারা দুজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। দলীয় ১০৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের গুড লেন্থের বল লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩২ রান করা রবীন্দ্র। এরপর শুরু হয় কুইদের ছন্দপতন। ১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন উইল ইয়াং ও ড্যারেল মিচেল।
এখান থেকেই প্রতিরোধের শুরু করেন টম ল্যাথাম এবং গ্লেন ফিলিপস। সাবধানী ইনিংসে দলের ইনিংস মেরামতে মনোযোগ দেন দুজনেই। অবশ্য তাতে আফগান ফিল্ডারদের কৃতিত্বও আছে। মুজিব-উর রহমান এবং হাশমতউল্লাহ শহিদি দুজনেই ক্যাচ ছেড়েছেন।
শেষদিকে ব্যাটে ঝড় তুলতে চেয়েও পারেননি ল্যাথাম এবং ফিলিপস। নাভিন উল হকের ওভারে মারতে গিয়ে দুজনেই আউট হয়েছেন। তবে তাতে রানতোলায় ভাটা পড়েনি। মার্ক চ্যাপম্যানের ক্যামিওতে ভর করে ঠিকই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। আফগানিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নেন ওমরজাই এবং নাভিন।