ডেস্ক নিউজঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশির ভাগ মামলায় জামিন নিয়েছে। তাদের কয়েকজন সহযোগী ইতোমধ্যেই জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিদেশে বসে কলকাঠি নাড়ছে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী।
কেউ কেউ দেশে আসতে শুরু করেছে। রাজনীতির মাঠ অস্থির করতে আগ্নেয়াস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে পেশাদার সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অপরাধজগতে নড়াচড়া শুরু হয়েছে। এসব তথ্যে যে কোনো ব্যক্তিই উদ্বিগ্ন হবেন। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের তৎপরতা সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এখন থেকেই সতর্ক ও সজাগ থাকা উচিত। নেওয়া উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
দেশে নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটাতে পেশিশক্তির ব্যবহার নতুন নয়। অনেকেই পেশাদার সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে এবং তা থেকে ফায়দা নেয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কতগুলো জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথমত, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কোন কোন এলাকায় সন্ত্রাসীরা আস্তানা গাড়ছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাতে হবে। অভিযানগুলো যেন এমনভাবে পরিচালিত না হয়, যাতে আইন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশদ খোঁজখবর ও প্রমাণসহ কেবল প্রকৃত সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদেরই যেন আটক ও শাস্তি প্রদান করা হয়। কোনোভাবেই যেন রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে বা ব্যক্তি আক্রোশে নিরপরাধ মানুষ হয়রানি ও নিগ্রহের শিকার না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তবে দেশে অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার রোধে অবশ্যই কঠোর হতে হবে।
নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ রাখার বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোরও। কোনো প্রার্থী যেন কোনো সন্ত্রাসীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেন, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের হাইকমান্ড থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া উচিত।
নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে এমনিতেই দেশি-বিদেশি চাপ রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে তাদের। দেশে নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে শুরু করলে এ সংশয় আরও বাড়বে। তবে চাপের কারণে নয়, জনগণের নিরাপত্তা এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের স্বার্থেই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন।
এজন্য অবৈধ অস্ত্রধারী এবং অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা জরুরি। এ বিষয়ে দেশের সর্বস্তরের সচেতন মানুষ একমত পোষণ করেন।