নির্বাচন ঘিরে দু’ দলের পালটাপালটি আলটিমেটাম

ডেস্ক নিউজঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠের রাজনীতিতে সরব দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সরকার পতনের একদফা দাবিতে টানা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে বিএনপি। নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি বিএনপির কর্মসূচির দিনগুলোতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। তাদের ‘পালটাপালটি’ কর্মসূচি ঘিরে বেড়েছে রাজনীতির উত্তাপ। সেই উত্তাপে এবার যুক্ত হলো নতুন মাত্রা।

দলীয় প্রধানের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে অপরাজনীতি ছাড়তে বিএনপিকেও ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এমন আলটিমেটামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ রাজনীতির মাঠে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন। আবার কেউ বলছেন কথার যুদ্ধ, শঙ্কার কিছু নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পালটাপালটি আলটিমেটামের পরিণতি ভয়াবহ।
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বের করা না যায়, তার মাশুল দিতে হবে পুরো জাতিকে। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অপরাজনীতি ছাড়তে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দেন।

তিনি বলেন, এর মধ্যে বিএনপিকে আগুন-সন্ত্রাস, নাশকতার রাজনীতি ছাড়তে হবে। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। নতুবা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজনীতির কালো হাত গুঁড়িয়ে দেব। এর আগে রোববার নয়াপল্টনে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, এ সময়ের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠাতে হবে। অন্যথায় কিছু হলে সব দায়দায়িত্ব সরকারের।

অন্যদিকে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের পালটাপালটি আলটিমেটামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ গনমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মঙ্গল চায় না। ধীরে ধীরে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ তারা শুধু খালেদা জিয়ার নয়, সাধারণ মানুষের ওপর ১৫ বছর ধরে জুলুম করে আসছে। জনগণেরও সময় আসবে। তখন আওয়ামী লীগের কী অবস্থা দাঁড়াবে তা বুঝতে হবে।

এখানে আলটিমেটাম বা জেদাজেদির কোনো বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা। আমরা আশা করি আওয়ামী লীগ এটা অনুধাবন করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।