ডেস্ক নিউজঃ দশ সাংগঠনিক বিভাগে রোডমার্চ করবে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। সরকার পতনের একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলন জোরদার করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে। এতে তরুণ-যুবকদের ব্যাপক জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় আগামী ১৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছয় সাংগঠনিক বিভাগে পাঁচটি রোডমার্চ করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , রংপুর বিভাগ থেকে প্রথম রোডমার্চ শুরু হচ্ছে। এ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে তিন সংগঠন।
সূত্রমতে, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি একদফা দাবিতে বিএনপিরও কর্মসূচি থাকবে। দলটি মধ্য সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যাবে। এ নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে আপাতত ছয় সাংগঠনিক বিভাগের পাঁচটি রুটে রোডমার্চ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির তিন সংগঠন। ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর থেকে সৈয়দপুর হয়ে দিনাজপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া থেকে নওগাঁ হয়ে রাজশাহী, ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট, ২৬ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থেকে যশোর হয়ে খুলনা এবং ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত। ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এর মতোই রোডমার্চেও ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন নেতারা। প্রতিটি রোডমার্চে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা বলেন, দ্বিতীয় দফায় বরিশাল, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে রোডমার্চ হবে। সবশেষ রোডমার্চ হবে ঢাকায়। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও এ নিয়ে আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে রোডমার্চ কর্মসূচি করা হবে। রোডমার্চ সফল করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ ছয় বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করে বিএনপির এই তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন।
গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম থেকে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু করে। পরে বগুডা, বরিশাল, সিলেট, খুলনা এবং সবশেষ ২২ জুলাই ঢাকায় হয় তারুণ্যের সমাবেশ। ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ শিরোনামে ওই কর্মসূচিতে নতুন ভোটার টার্গেট করে তরুণদের ব্যাপক জমায়েত করেছিল তিন সংগঠন।