স্পোর্টস ডেস্কঃ শ্রীলংকার প্রাচীন রাজাদের সবশেষ রাজধানী ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সবচেয়ে বড় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দ্বৈরথকে মহারণ-টহারণ কতভাবেই না সংজ্ঞায়িত করা হয় ওয়াঘা সীমান্তের এপার-ওপার দুই পড়শির ক্রিকেটযুদ্ধকে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সেই ধুন্ধুমার লড়াই। পাকিস্তানের বোলিং ও ভারতের ব্যাটিংয়ের মহাযুদ্ধ। রোহিত শর্মার ভারত, না বাবর আজমের পাকিস্তান? নানা মুনীর নানা মত। যেমন লংকান কিংবদন্তি মুত্তিয়াহ মুরালিধরন এগিয়ে রাখছেন ভারতকে। সেটি রোহিতদের ধারাবাহিকতার জন্য। আবার সৌরভ গাঙ্গুলী অতটা সাহসী না হয়ে নিরাপদ পথ বেছে নিয়েছেন। ‘যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে,’ তার ‘দুই কূল রক্ষা’ করার জবাব।
রবি শাস্ত্রী নিজের দেশকে এগিয়ে রাখতে অকপট। তবে এ-ও মানছেন যে, সাত-আট বছর আগের তুলনায় পাকিস্তান এখন দূরত্ব কমিয়ে এনেছে অনেকটাই। মানে, বাবর আজমের দল এখন ঢের উন্নতি করেছে। উলটোদিকে ওয়াসিম আকরামের ভাষ্য, ‘গতবার আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হবে। সেটি হয়নি। শ্রীলংকা শেষাবধি শিরোপা জেতে। এই তিনটি দলই বিপজ্জনক। যে কেউ জিততে পারে।’
ক্রিকেট মাঠে যখনই মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান, সেটি হয়ে যায় ‘মাদার অব অল ব্যাটলস’। সব যুদ্ধের জননী। কলকাতা ও করাচি, মুম্বাই ও মুলতান, লাহোর ও লখনৌ একই আবেগে ভাসে। সেই আবেগের নাম জয়। জয় ছাড়া আর কিছু নয়।
ওয়াসিম আকরাম একবার বলেছিলেন, ভারতের কাছে হারলে বাড়ির জানালার কাচ অক্ষত থাকত না। আরেকবার ভারত হারার পর দলের এক নতুন খেলোয়াড় খুশি ছিলেন এই ভেবে যে, তার নিবাস একটি ছোট্ট শহরে। যেখানকার মানুষ ভাঙচুরে বিশ্বাসী নয়। শচীন টেন্ডুলকার তখন মজা করে তাকে বলেছিলেন, ‘তাহলে কয়েকটা দিন আমরা না হয় তোমার বাসায় থাকি।’
তবে দিনশেষে এটি যে নিছকই একটি ম্যাচ, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু পরস্পরের প্রতি বৈরী মনোভাবাপন্ন দুই প্রতিবেশীর সেটি মানতে বয়েই গেছে। তাই ভারত-পাকিস্তানের ব্যাট-বলের লড়াই শুধুই একটি ক্রিকেট ম্যাচ নয়। তারচেয়েও অনেক বড় কিছু।