স্পোর্টস ডেস্কঃ দুই দিন আগে তামিম ওয়ানডের নেতৃত্ব ছাড়ার পর নতুন অধিনায়কের খোঁজে বিসিবি। এশিয়া কাপে সেই দায়িত্ব কি পালন করবেন ডেপুটি লিটন নাকি নতুন কেউ? এসবই এখন ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনার বিষয়। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন এগিয়ে রাখলেন সাকিব আল হাসানকে।
২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৪৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবের। এরপর মাশরাফির অবর্তমানে আরও তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। অধিনায়ক হিসেবে সাকিব বেশ অভিজ্ঞ। এই কারণেই সুজন এগিয়ে রাখলেন তাকেই। অবশ্য লিটনের প্রতিও তার আস্থা আছে। ভারতের বিপক্ষে তার নেতৃত্বেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
নতুন অধিনায়ক নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘লিটনকে আমি কীভাবে বলি, লিটন নয়! সে সিরিজ জিতিয়েছে ভারতের বিপক্ষে। তবে যাই হোক, সাকিব তো অবশ্যই এগিয়ে থাকবে এখানে। সাকিবের বুদ্ধি, অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। কিন্তু তারপরও আমি লিটনকেও ছোট করতে চাই না। কারণ লিটন অতীতে খুবই ভালো কাজ করেছে (অধিনায়ক হিসেবে)। আমি মনে করি যে দলে সাকিব আছে, সে দলে এখন সাকিবকে দেওয়াটাই ঠিক। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।’
সুজন আরও বলেছেন, ‘এই সময়ের মধ্যে লিটন, শান্ত, মিরাজ এরাও তৈরি হবে। সামনে এদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। এদের হাতেই আর্মব্যান্ড যাবে। তামিম, মুশফিকরা অবসর নিলে এরাই সিনিয়র হবে।’
সুজন মনে করেন কোনও কারণে লিটন পাকাপাকিভাবে অধিনায়কত্ব পেলে সাকিব মন খারাপ করবেন না, ‘আমি মনে করি লিটনকে অধিনায়কত্ব দিলে সাকিবের জন্য কোনও ইস্যু হবে, তা নয়। আমি সাকিবকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার মনে হয় না, সাকিব এসব নিয়ে কিছু মনে করবে। সে উল্টো লিটনকে আরও বেশি সাহায্য করবে। এখন বোর্ড যদি মনে করে লিটন, এটাও কোনও সমস্যা নয়। আমার মনে হয় যে, লিটন প্রস্তুত। সেও অভিজ্ঞ। এত দিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট, জাতীয় দলে খেলছে, ওর অভিজ্ঞতাও অনেক ভালো। শেষ আমি যেটা বলি, যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি, লিটনের কথা বারবার আসবে। পাশাপাশি সাকিব থাকায় আমাদের খুব ভালো একটা চয়েজ আছে।’
ইনজুরির কারণে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। দেশসেরা এই ওপেনারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুজন। সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন এখন আরও নির্ভার হয়ে ব্যাটিং করতে পারবেন তামিম।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে নেই খালেদ মাহমুদ সুজন। কেন নেই সেই ব্যাপারে ব্যাখা দিলেন অভিজ্ঞ এই কোচ ও সংগঠক, ‘বেসিক্যালি কোনও কারণই নেই, আমার নিজের তো একটা জীবন আছে। আমি বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে আছি, একটা বিভাগে হেড আছি, সেখানে মনোযোগ দিতে হয়। তো একটা সময় বিসিবি প্রধান আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকার জন্য। সেখানে আমি যতটুক পেরেছি চেষ্টা করেছি। এরপর আমার নিজস্ব কারণে আমি জাতীয় দলের সঙ্গে নেই।’