যে দুই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইইউ প্রতিনিধিদল

বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাকনির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী এবং এবি পার্টির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে। এ বৈঠকের উদ্দেশ্যে হচ্ছে— আগামী নির্বাচনে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেজন্য পরিস্থিতি যাচাই করা।

শনিবার (১৫ জুলাই) বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত এসব পৃথক বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদলটি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দুটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন দুটি হলো— সুষ্ঠু নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ আছে কিনা এবং সব দল ভোটে অংশ নেবে কিনা। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মূলত এ দুটি প্রশ্নের জবাব খুঁজেছেন ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আরও কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছে সেলোরি রিকার্ডোর নেতৃত্বাধীন ইইউ প্রতিনিধিদল। এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের উত্তর এবং বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য ও পরামর্শ শুনেছেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তবে নিজেদের মতামত জানায়নি। সংলাপ, নির্বাচনকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েও কোনো কথা বলেনি দলটি।

ঢাকায় ইইউ দূতাবাস সূত্র জানায়, বিএনপি, জাপা ও জামায়াত নেতাদের কাছে সব দলের জন্য সমতা বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে জানতে চায় ইইউ দলটি। সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে কী কী বাধা রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করেছে তারা। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের ভূমিকা এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার বিষয়েও তিন দলের মতামত জানতে চাওয়া হয়।

তাদের জিজ্ঞেস করা হয়, নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা। আওয়ামী লীগের কাছে অবশ্য এসব প্রশ্ন করা হয়নি। বিএনপি-জামায়াত বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব। আর জাপা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ক্ষমতাসীন ও বাকি চার দলের কাছেই বিদ্যমান আইন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনুকূল কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। তারা জানতে চায়, আগামী নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠালে তারা কীভাবে দেখবে। আওয়ামী লীগ-জাপা বলেছে, পর্যবেক্ষক পাঠালে স্বাগত জানানো হবে।

তবে বিএনপি-জামায়াত জানায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানো হবে। পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কী হবে না– এ বিষয়ে দলগুলোকে কিছু বলেননি ইইউ প্রতিনিধিরা। তবে জানা গেছে, পর্যবেক্ষক পাঠানোর ক্ষেত্রে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিনিধিদলটি।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন কীভাবে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে– তা জানতে চেয়েছেন ইইউ প্রতিনিধিরা। তারা বিএনপির বক্তব্য শুনেছেন। নিজেদের মতামত জানাননি।