জামায়াতের সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা করবে ইইউ প্রতিনিধিদল

বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও বৈঠক করবে। সেখানে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এবং নির্বাচনি কাঠামো সম্পর্কে ধারণা নেবে প্রতিনিধিদল।

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় গুলশানের ইইউ দূতাবাসে বৈঠকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দলটিকে। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিস্তারিত না জানালেও আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং এবি পার্টির সঙ্গেও বৈঠক করবে ইইউ প্রতিনিধিদল।

যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোণঠাসা জামায়াত প্রায় এক যুগ প্রকাশ্য রাজনীতিতে ছিল না। বিচার ঠেকাতে আন্দোলনে নেমে সহিংসতার মামলায় দলটির বহু নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। এর পর ঝটিকা মিছিলে সীমাবদ্ধ ছিল দলটির তৎপরতা। তাতেও পুলিশের ধরপাকড় চলত। কূটনৈতিকদের সঙ্গেও জামায়াতের দৃশ্যমান যোগাযোগ ছিল না।

কিন্তু গত ১০ জুন এক দশক পর রাজধানীতে পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করে জামায়াত। গত শুক্রবার রাজধানীতে পুলিশের উপস্থিতিতে বড় মিছিল করে দলটি। আগামী শনিবার সিলেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে জামায়াত। দলটির কর্মসূচি পালনের সুযোগ পাওয়া রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন ভিসানীতি এবং আগামী নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনীতির মূলধারায় ফিরছে জামায়াত। বিদেশিদেরও ডাক পাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের আয়োজনে আগামী ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পেয়েছে জামায়াত। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, গত ১০ বছর জামায়াতকে ডাকেনি মার্কিন দূতাবাস।

আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গত শনিবার বাংলাদেশ এসেছে ইইউর প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষণ মিশন। সাংবিধানিক এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠক করছে দলটি। আলোচনায় বসবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সিনিয়র সেক্রেটারি চেরি মারলিন ডিও মঙ্গলবার ই-মেইলে জামায়াতকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান। এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পরিবেশ ও নির্বাচনি কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পেতে সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদল।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে তারা অংশ নেবে।