সন্নিকটেই ঈদুল আজহা। এর মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজশাহীর পশুরহাটগুলো। কুরবানির জন্য রাজশাহীতে এবার চার লাখ পশু প্রস্তুত বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সেই হিসেবে চাহিদার তুলনায় রাজশাহীতে ৭০ হাজারের বেশি কুরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। তবে গবাদি পশুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় বেড়েছে লালন-পালনের খরচ। কুরবানির পশু আমদানির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুরবানিতে বিক্রির জন্য রাজশাহীর পবা উপজেলার ভালাম এলাকার গরুখামারি সুজাত আলী বলেন, আমার গোয়ালেও পাঁচটি ষাঁড় আছে।
ভারত থেকে গরু আমদানি না করা হলে আশা করছি কুরবানিতে ভালো দাম পাব।
রাজশাহীর গবাদি পশুর খাবার বিক্রেতা বাবুল হোসেন গবাদি পশুর খাবারের দাম বেড়েছে। প্রতি মাসে খাবারের দাম বাড়ছে। ভুট্টার আটাপ্রতি কেজি ৩৫ টাকা, চালের গুঁড়া (খুদ) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, অ্যাঙ্কর ভুসি ৬০ টাকা, মসুরের ভুসি ৪৪ টাকা, সরিষার খৈল ৫০ টাকা। এছাড়া ধানের খড় (আউড়) ১২০ থেকে ৩১০ টাকা বোঝা। এ কারণে গরু পালনে খরচ বাড়ছে। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুরহাট সিটি হাট। এই হাটের ইজারাদার ফারুক হোসেন ডাবলু বলেন, সিটি পশুরহাট সপ্তাহে রোববার ও বুধবার বসছে। এখনও প্রতিদিন হাট চালু হয়নি। আগামী বুধবার থেকে প্রতিদিন হাট বসবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, রাজশাহীতে চাহিদার তুলনায় কুরবানিযোগ্য পশু বেশি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, আসন্ন কুরবানির পশুর সঙ্কট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।