আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ আগামী ২১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
গতকাল মঙ্গলবার তার ছোট ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর ডন, পিটিআইয়ের। তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে দলের রাজনৈতিক প্রচারণায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আগামী ২১ অক্টোবর লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসবেন পিএমএল-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফ।
দুর্নীতির এক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান নওয়াজ শরিফ। আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও লন্ডনে থেকে যান দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। চার বছর পর দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে নওয়াজ শরিফকে বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করছে পিএমএল-এন।
লন্ডনে নওয়াজের নেতৃত্বে পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বলেছেন, আগামী ২১ অক্টোবর পাকিস্তানে ফিরবেন নওয়াজ শরিফ। শেহবাজ বলেন, ফিরে আসার পর দলের প্রতিষ্ঠাতাকে জমকালো অভ্যর্থনা জানানো হবে। তিনি বলেন, পুরো জাতি নওয়াজ শরিফের প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের বহুল আলোচিত আল-আজিজিয়া মিলস ও অ্যাভেনফিল্ড দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির আদালত। এই মামলায় লাহোরের কোট লাখপাত কারাগারে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন তিনি। কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর আদালতের অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর লন্ডনে যান নওয়াজ শরিফ।
সেই সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল, ইমরান খানের সরকার ও তার সমর্থকরা নওয়াজ শরিফকে বিষ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে। যে কারণে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে লন্ডনের হার্লি স্ট্রিট ক্লিনিক ও লন্ডন ব্রিজ হাসপাতালে চার মাস ধরে চিকিৎসা নেন তিনি।
চলতি বছরের জুনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও সিনেটে সংশোধিত জাতীয় নির্বাচন আইন-২০২৩ অনুমোদন পায়। এর ফলে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের একতরফা ক্ষমতা পায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। একই আইনে নির্বাচনে দণ্ডিত কোনও প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের অযোগ্য ঘোষণা করার মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটির ক্ষমতায় আসে পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন জোট। পিএমএল-এন ক্ষমতায় ফেরার পরপরই শরিফ পরিবারের সদস্যদের অন্যান্য মামলা থেকেও খালাস দেওয়া হয়।