নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর বেলাবোতে বাড়িতে ঢুকে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ওই ঘটনার পর এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে চারদিন। ঘটনার দিন রাতেই থানা-পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিশুটির পরিবার।
ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও বেলাব থানার পুলিশ ওই শিশুর পরিবারের দেওয়া লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়নি।
এর আগে গত বুধবার রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম মেরাজ মাহমুদ (২২)। মেরাজ মাহমুদ বেলাব উপজেলার চর উজিলাব ইউনিয়নের দেওয়ানের চর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। ঘটনার পরই অভিযুক্তসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় ওই শিশুটি ঘরে একা ঘুমিয়েছিল।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নিচ্ছে না বেলাব থানার পুলিশ।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ওই শিশুটিকে ঘরে একা রেখে তার মা-বাবা বাড়ির পাশের একটি মাজারে যান। যাওয়ার সময় অভিযুক্ত মেরাজ মাহমুদ পথে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, ’আপনারা কোথায় যাচ্ছেন’। পরে বাড়িটিতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত মেরাজ ওই শিশুর ঘরের জানালা দিয়ে ঢুকে পড়েন। পরে তাঁর ওরনা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মেরাজ পালিয়ে যান।
শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করেন গাইনি বিভাগের চিকিৎসক তাজরিনা আক্তার। তিনি জানান, আমি শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করেছি। ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিয়েছি এটা পুলিশ কেইস। এখন মামলা নেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, বেলাব থানার ওসি সাফায়েত হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তবে এই ঘটনায় কেন এখনো মামলা নেওয়া হয়নি, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এই ঘটনায় পুলিশ অবশ্যই মামলা নেবে।