টাঙ্গাইলে মন্ডপে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি

আলোকিত রিপোর্ট:

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। প্রকৃতিতে শরৎ আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালীর জীবনে বেজে উঠে উৎসবের ডাক।

বুধবার (৬ই অক্টোবর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে দেবী পক্ষ।  শুরু হয়ে গেছে বাঙালীর আবহমানকালের উৎসবের আমেজ।  সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও চলছে দেবী দূর্গার আগমনী প্রস্তুতি।  ঢাক-ঢোল, শংখ ধনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। আগামী ১১ ই অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ দূর্গোৎসব।

এ বছর পূজায় আনুষ্ঠানিকতা থাকছে কম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। পূজা মন্ডপে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় থাকছে কঠোর নজরদারি। জন সাধারণকে মাস্ক পড়ে, শৃঙ্খলা মেনে পূজা মন্ডপে আসার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে প্রতিমা সাজিয়ে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের মৃৎশিল্পীরা। শেষ সময়ে রং-তুলি দিয়ে প্রতিমা সাজাতে ভীষণ ব্যস্ত তারা।

টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া ঘোষবাড়ির পূজা মন্ডপে প্রতিমার চক্ষুদান করছে তাড়টিয়ার মৃৎশিল্পী সন্তোষ পাল।  তার সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করছেন ছেলে সুমন পাল। সন্তোষ পালের সাথে কথা বলে জানা যায়,  বংশ পরম্পরায় এ কাজ করছেন তারা। তিনি কাজ শিখেছেন তার বাবা কার্তিক পালের কাছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ( ঝন্টু) আলোকিত স্বদেশের সাথে আলাপচারিতায় টাংগাইলের দূর্গা পূজার সার্বিক চিত্র ও তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান- টাংগাইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাহায্য- সহযোগিতা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে।

মন্ডপের সংখ্যার দিক দিয়ে টাংগাইলের মির্জাপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ ২৫২টি মন্ডপে এবার দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।