জমজ সন্তান কেন হয়?

ডা. আফরোজা খানম

যমজ সন্তান কেন হয়? এ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই জানতে চায় এর রহস্য। তবে যমজ সন্তান নিয়ে রহস্যের বা গবেষণার কিছু নেই। গর্ভে একের অধিক সন্তানধারণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণে এটি হতে পারে যেমন-মা বা নানি, যদি পূর্বে যমজ সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। এটি প্রকৃতি প্রদত্ত বা গড গিফটেট বলা যেতে পারে।

যমজ সন্তান জন্মের পেছনে কোনো রহস্য নেই। ডিম্বাণু ও শুক্রানুর একটি ব্যাপার রয়েছে। এ ছাড়া মা বা নানি যদি পূর্বে যমজ সন্তান জন্ম দেয়। চিকিৎসার মাধ্যমে নিঃসন্তান মায়েরা যখন গর্ভধারণ করেন তখনও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এটি ঘটে থাকে। এখানে কারও হাত নেই।

ইচ্ছাকৃতভাবে বা কোনো চিকিৎসার মাধ্যমে কখনোই যমজ সন্তান নেয়া সম্ভব নয়।

কেন হয় যমজ সন্তান

মায়ের দেহে সাধারণত একই সময়ে একটি মাত্র ডিম্বাণু দুটি ডিম্বাশয়ের যে কোনো একটি থেকে নির্গত হয়। যদি দুটি ডিম্বাশয় থেকেই একটি করে ডিম্বাণু একই সময়ে নির্গত হয়, তবে ওভ্যুলেশন পিরিয়ডে তার শরীরে মোট দুটি ডিম্বাণু থাকে। এ সময় মিলন হলে পুরুষের শুক্রানু উভয় ডিম্বাণুকেই নিষিক্ত করে। একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রথমে দুটি পৃথক কোষে বিভক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে প্রতিটি কোষ থেকে একেকটি শিশুর জন্ম হয়।

এখানে দুটি কোষ যেহেতু পূর্বে একটি কোষ ছিল, তাই এদের সব জীন একই হয়ে থাকে। এ কারণে এরা দেখতে অভিন্ন হয় এবং একই লিঙ্গের হয়। এভাবেই নন-আইডেন্টিক্যাল টুইন শিশুর জন্ম হয়। এসব শিশু সব সময় একই লিঙ্গের না-ও হতে পারে এবং তারা দেখতে ভিন্নও হতে পারে।

সন্তান যমজ কিনা, তা বুঝবেন যেভাবে

বেশি শরীর খারাপ ও গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন স্বাভাবিক তুলনায় বেশ বেড়ে যাওয়া। গর্ভের সন্তান যমজ কিনা, জানতে দুই মাস পরে আল্ট্রা সাউন্ড করে জেনে নিতে পারে।